পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিশু আইন-আদালত নিয়ে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টে একধরণের বিচারিক বিশৃৃঙ্খলা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। পুরান ঢাকার ওসমান হত্যা মামলার আসামি শিশু মো. হৃদয়ের জামিন আদেশে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ। গতকাল বুধবার এ বিষয়ক রায়টি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। রায়ে আদালত বলেন, দেনন্দিন বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা উচ্চারণে আমাদের দ্বিধা নেই যে, শিশু আইন ও আদালত নিয়ে বর্তমানে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে এক ধরণের বিচারিক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শিশু আইনে সাংঘর্ষিক অবস্থা, বিদ্যমান অসংগতি, অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অবিলম্বে দূর করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সরকার দ্রæততার সঙ্গে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই আদালতের প্রত্যাশা। আর সরকার শিশু আইন সংশোধন অথবা শিশু আইন ২০১৩-এর ধারা ৯৭-এর বিধান মূলে গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অস্পষ্টতা ও অসংগতি দূর করতে পারে বলে রায়ে বলা হয়েছে। এছাড়া এই রায় ও আদেশের কপি প্রয়োজনীয় অবগতি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালত/ ট্রাইব্যুনালসহ সমাজকল্যাণ ও আইন সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায়ে আরো বলা হয়েছে, আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে, শিশু আইনের ১৫ ক ধারা, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৭ নম্বর ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ২৭ নম্বর ধারা এবং ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৮ নম্বর ধারাসহ বিভিন্ন বিশেষ আইনের সঙ্গে শুধু অসংগতিপূর্ণ নয়, সাংঘর্ষিকও বটে। আর শিশু আইনের প্রাধান্যতার কারণে যদি যুক্তি দেয়া হয় যে, থানার দায়েরকৃত মামলা অর্থাৎ জি.আর মামলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে গ্রহণ করবেন তাহলে সেটা হবে শিশু আইন প্রণয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। শুধু তাই নয়, একই আইনের অধীনে শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে গ্রহণ করবেন ম্যাজিস্ট্রেট, আর প্রাপ্ত বয়ষ্কদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল বা ক্ষেত্রমত আদালত যা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক একটি প্রস্তাবনা।
আদালত রায়ে বলেছেন, শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়নের মূল লক্ষ্যই ছিল শিশুদের (আসামি, ভিকটিম ও সাক্ষী) সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণ করা। আদালতে শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, দেশের শিশু আদালতসমূহে এখন পর্যন্ত শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রে শিশু আদালতের বাইরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে এই মুহূর্তে শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।