পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি পরিত্যক্ত বগির বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া মাদরাসাছাত্রীর লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্তের সময় মেয়েটির গলায় আমরা দাগ পেয়েছি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আলামত আমরা পেয়েছি এবং নমুনা সংগ্রহ করে প্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে এক ছাত্রীর লাশ দেখতে পায় টহলরত এক আনসার সদস্য। খবর পেয়ে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় উদঘাটন করে।
ঢামেক হাসপাতালে আসমার চাচা রাজু আহামেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, আসমা গত রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। সোমবার পুলিশের মাধ্যমে তারা সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসে তার লাশ শনাক্ত করেন। তিনি আরও জানান, বাঁধন নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। বাঁধনও একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। আসমা নিখেঁাঁজের পর থেকে ওই ছেলেকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে। বাঁধনই তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হোক। আসমা স্থানীয় খানবাহাদুর মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই মো. আলী আকবর জানান, ওই ছাত্রী কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে তার স্বজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।