পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা হ্রাস ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার টেলিফোনে ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে এক টুইটার পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার দুই ভালো বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে কথা বললাম। বাণিজ্য, কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীরে উত্তেজনা হ্রাসের জন্য কাজ করতে বললাম। কঠিন পরিস্থিতি, কিন্তু ভালো আলাপ হয়েছে!’
ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ওয়াশিংটন নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অর্থনৈতিক মিত্রতা কীভাবে আরও জোরদার করার দিকে এগিয়ে নিতে পারেন তা নিয়ে ফের আলোচনা করেছেন দুই নেতা এবং তারা শিগগিরই আবার দেখা করার প্রত্যাশা করছেন।’ ফোনে কথা বলার সময় ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে ‘উত্তেজনা ও বাদানুবাদের হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার’ জন্য ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ‘পরিস্থিতির আরো অবনতি এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করে উভয়পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট,’ বলেছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প ও খান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক মিত্রতা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও সম্মত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার আগ মুহ‚র্তে ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরান খানের এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, কাশ্মীর পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের অবস্থা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরান খান।
‘অধিকৃত কাশ্মীরে গণহত্যা চলছে’
আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সরদার মাসউদ খান বলেছেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর সেখানে ‘পূর্ণ গণহত্যা’ চলছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাসউদ খান বলেন, ‘লোকদের তুলে নিয়ে হত্যা করে গণকবর দেয়া হচ্ছে। মহিলাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে; প্রায় ৬ হাজার মানুষকে তুলে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং কোনো কারণ ছাড়াই তাদের দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এগুলি সবই যে কোনও অঞ্চলে গণহত্যার মূল সূচক এবং মিডিয়া বন্ধ থাকার কারণে এসব অপরাধের খবর উপত্যকার বাইরে আসছে না।’
নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে ভারতীয় নৃশংসতার তীব্রতা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কিছুটা প্রকাশ পেয়েছে। কাশ্মীরের জনগণের দুর্দশার কথাই তারা তুলে ধরেছে।’ তিনি বলেন, ‘৫০ বছরের বেশি সময় পরে কাশ্মীরের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) বৈঠকও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, কাশ্মীরের পক্ষে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এটি চ‚ড়ান্ত পদক্ষেপ নয়; বরং এটি প্রথম পদক্ষেপ এবং আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের জন্য আমাদের দীর্ঘ পথ যেতে হবে।’
‘ভারতের আগ্রাসীভাব’ তুলে ধরতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি তুলে ধরতে সমগ্র জাতির, বিশেষ করে গণমাধ্যমগুলোর সমর্থন চেয়েছে পাকিস্তান। গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকারের প্রধান মুখপাত্র ফেরদৌস আশিক আওয়ান ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিরদৌস বলেন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একদিন আগে মোদি বক্তব্য দেবেন। এখন থেকে সেদিন পর্যন্ত কাশ্মীরিদের দুর্দশা জোরালোভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যমগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইমরান খানের তথ্যবিষয়ক বিশেষ এই সহকারী আরো জানান, অধিকৃত কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নেয়া না হলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি ‘যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে’ তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে। সূত্র : ডন, রয়টার্স, টুইটার, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।