পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী (পরবর্তীতে আসামি হিসেবে গ্রেফতার) আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুল জারির পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার নথিপত্র (কেসডকেট) নিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার আগেই প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বামী রিফাত হত্যার সঙ্গে স্ত্রী মিন্নি জড়িত মর্মে বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের ব্যাখ্যাও জানতে চান আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে হবে।
গতকাল মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. এম. আমিন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন মেহেদী, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সরকারপক্ষে রুলের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পি। এর আগে গত ৮ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের পক্ষে রুল জারি করতে চাইলে মিন্নির কৌঁসুলিরা আবেদনটি ফেরত নিয়েছিলেন। মিন্নির বাবা দ্বিতীয়বার হাইকোর্টে জামিন চাইলে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, মিন্নিকে কেন জামিন দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, কারাকর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে হবে। রুল জারির পাশাপাশি রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত থাকার তথ্য তিনি কিসের ভিত্তিতে কিভাবে দিলেন, সেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বরগুনা পুলিশ সুপারের কাছে। মিন্নিকে তার বাসা থেকে পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া, জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার, আদালতে হাজির করা, রিমান্ড শুনানি পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কী বলেছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী রিফাত শরীফকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এক তরুণী (রিফাত শরীফের স্ত্রী) রিফাতকে বাঁচাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫-৬ জনকে ‘অজ্ঞাত আসামি’ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত কোনো আদালতে মিন্নির জামিন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।