গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি গতকাল (সোমবার) ভারতের বিহার ও এর সংলগ্ন অঞ্চলের দিকে সরে গেছে। পশ্চিমা এই লঘুচাপের প্রভাবে আবারো গা-জ্বলা ভ্যাপসা গরমের তেজ অনুভূত হচ্ছে প্রায় সারাদেশে। কমে গেছে বৃষ্টিপাত। আজ (মঙ্গলবার) দেশজুড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি ঝরেছে শুধু চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, চুয়াডাঙ্গা, খেপুপাড়া, খুলনা, বরিশালের দুয়েক জায়গায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪.৬ এবং ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার বেশি থাকায় দেশের অধিকাংশ স্থানে ভ্যাপসা গরম পড়ছে। অতিরিক্ত ঘামে কাহিল ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ছিল ৬৩ শতাংশ।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর তা মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগরে আপাতত লঘুচাপ ও কোনো সঙ্কেত নেই।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের চলতি সপ্তাহের (১৮ থেকে ২৪ আগস্ট) কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাসে উপ-পরিচালক কাওসার পারভীন জানান, এ সপ্তাহে দৈনিক উজ্জ্বল সূর্যকিরণ কাল ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে থাকতে পারে।

এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা. বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।