পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্পদের তো সীমা আছে। মানুষ আসলে অন্ধ হয়ে যায় অর্থের জন্য। কিন্তু এটা ভুলে যায় যে মরে গেলে কিছু সাথে নেয়া যাবে না, কবরে একাই যেতে হবে। ঘুষগ্রহীতার পাশাপাশি ঘুষদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। তাহলে এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ করলে আমাদের অনেক কাজ আমরা দ্রুত করতে পারব। দুর্নীতি দমন করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প ঠিক করে তা দ্রুত বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডেঙ্গু, এটা বিরাট সমস্যা। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, আমাদের আশপাশে অনেক দেশে কিন্তু ডেঙ্গু দেখা গেছে। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে। কোনো কোনো দেশে মহামারী আকারে, যেমন ফিলিপাইনে মহামারী আকারে দেখা গেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, মশার লার্ভা যেন না জন্মে, মশা যেন জন্ম না নিতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং নিজে সচেতন থাকা, নিজেকে সুরক্ষিত করা। সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, এখনো এর প্রকোপ অনেকটা আছে। এখন দেখা যাচ্ছে অনেক জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আমি মনে করি, এটা মোকাবেলা করায় তারা যথেষ্ট সচেতন ছিলেন, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অফিসের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) সবাই অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে যে যেখানে ছিল প্রত্যেকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো চেষ্টা করেছে। আমাদের দেশ ভৌগোলিক দিক থেকে ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বড়। এজন্য আমাদের কাজের চাপ অনেক বেশি।
বন্যা মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মোকাবেলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। বন্যা আমাদের দেশে আসবে। আমাদের দেখতে হবে দেশের মানুষের যেন জানমালের কম ক্ষতি হয়। আমরা কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। বন্যা থেকে ভালোটা আমাদের নিতে হবে, ক্ষতিটা বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এই দপ্তর (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থেকেই... যেহেতু একটা ভালো সেটআপ আছে। সেখান থেকে কিন্তু একটু নজরদারিও বাড়াতে হবে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে, যে অগ্রাধিকার ঠিক করে নিয়ে কোন কাজগুলো দ্রুত আমরা করতে পারি। কাগজ-কলমের কাজ ও পরিকল্পনা শেষ করে ফেলার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিজিক্যাল ওয়ার্ক যেন বন্যা চলে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু করে দিতে পারি, সেভাবে আমাদের প্রস্তুতি নেয়া, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া দরকার।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার আরো কমানোর জন্য কাজ করতে হবে। আমি বলব প্রতিটি এলাকায় আমাদের খোঁজ নেয়া দরকার। যেটা আমি ডিসি কনফারেন্সেও বলে দিয়েছি। কোনো এলাকায় কেউ ভিক্ষা করবে না, কোনো এলাকায় মানুষ গৃহহারা থাকবে না। যেখানেই গৃহহারা মানুষ, তার ঘর তৈরি করে দিতে হবে। নিষ্ক্রিয় প্রকল্পগুলো আবার চালু করারও নির্দেশ দেন তিনি। ঘরে ফেরা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। এই প্রোগ্রাম বোধহয় আবার হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি এতিমখানা, বয়োবৃদ্ধদের থাকার ব্যবস্থার জন্য শান্তিনিবাস ও বিত্তশালী বয়োবৃদ্ধদের জন্য অবসর কর্মসূচিও আবার চালু করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় একটু কমই ধরি। কিন্তু অর্জনটা বেশি করতে চাই। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের লক্ষ্য আছে যে, আমরা ডাবল ডিজিটে যাবো। প্রবৃদ্ধি ৮ পর্যন্ত আমরা উঠে এসেছি। এটা মনে রাখতে হবে, আটের পরে ওপরে ওঠানো কিন্তু একটু বেশ কঠিন এবং এটা কিন্তু একটু ধীরগতিসম্পন্ন হয়। এটাই অর্থনীতির নিয়ম। ধীরগতিসম্পন্ন হবে বলেই আমাদের একটু বেশি নজর দিতে হবে। বেশি শ্রম দিতে হবে। বেশি কাজ করতে হবে। এখন কিন্তু এত দ্রুত আমরা উঠতে পারব না। অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ীই এটা হয়ে থাকে। কিন্তু এর থেকে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান ও ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।