Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তলিয়ে গেছে নগরী

খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অবিরাম বর্ষণে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা। প্রতিটি সড়কই এক একটি খালে পরিণত হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দু’দিনের বৃষ্টি চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হিসেবে রেকর্ড করেছে আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টিতে মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, বাইতি পাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লাপোতা, শিববাড়ি মোড়, বড় বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর মেঘার মোড়, দৌলতপুর, নতুনবাজার, পশ্চিম রূপসা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবু খান রোড, লবণচরা বান্দা বাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় পানিবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে হাটু পানি। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলার মেঝো পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে, বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল খুবই কম। পেশার তাগিদে বা জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন, পানিবদ্ধতার কারণে রিকশা বা ইজিবাইক না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে অবিরাম বৃষ্টি ও পানিবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকার সুযোগে রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। নিরুপায় হয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।

বৈকালী সিএসডি এলাকার বাসিন্দা মো. বাদশা শেখ বলেন, সকাল থেকে খালিশপুর এলাকা যানবাহন শূন্য। অফিসে যেতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। নগরীর মুজগুন্নী এলাকায় শিশুপাকের সামনে হাটুপানি জমে গেছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে খালিশপুরের অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে। সব জায়গায় পানি আর পানি।
পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা শেখ রফিক বলেন, পানিতে নগরবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। পূর্ব বানিয়া খামারসহ বি কে মেইন রোড হাটুপানি জমে আছে। আশপাশের প্রায় সব ঘরবাড়ির নীচতলার অনেকাংশই পানিতে তলিয়ে আছে। পানি উত্তোলনের পাম্প মেশিনও পানির নিচে। ফলে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে রান্নার চুলা জ্বলেনি। এলাকার দোকানপাটও সব বন্ধ।
নগরবাসী বলছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষসহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতে নগড়জুড়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নগরবাসী।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় খুলনাঞ্চলে এ প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৩টা থেকে খুলনায় মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ