Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগ্রাবাদ হালিশহর খাতুনগঞ্জ বর্ষণ ও জোয়ারে ডুবেছে

পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সামুদ্রিক জোয়ার ও বর্ষণে আবারো ডুবে গেছে আগ্রাবাদ সিডিএ, গোসাইলডাঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী, পতেঙ্গা, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ, রাজাখালী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, মোহরাসহ বন্দরনগরীর অনেক এলাকা। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দী হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের নানামুখী দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া দোকানপাট ও গুদামে মজুদ বিপুল পরিমানণ মালামাল বিনষ্ট হয়েছে।
বর্ষার মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি, কখনও কখনও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। যা ওই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বর্ষণ। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। তবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ১৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। চট্টগ্রামে গতকাল সকাল থেকে আর তেমন বৃষ্টি না থাকলেও সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করে একের পর একে বিভিন্ন এলাকা। গতকাল সকালে সামুদ্রিক জোয়ারের পালা শুরু হয়ে দুপুরে তা আরো প্রবল হয়ে ওঠে। বৃষ্টির পানি না নামতেই জোয়ারের চাপের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়াসহ ডুবে যায় অনেক এলাকা।
পানিবন্দী হাজারো মানুষকে সড়ক, রাস্তাঘাট, অলিগলিতে পানি ডিঙিয়ে জুমার নামাজ পড়তে যেতে দেখা যায়। ছুটির দিনে জরুরি প্রয়োজনে বাড়িঘরের বাইরে যেতে বেগ পেতে হয় এলাকাবাসীকে।
বর্ষণ ও জোয়ারের পানির তোড়ে এসব এলাকায় বসতঘর, দোকানপাট, গুদাম, আড়ত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালসহ কয়েকটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, সড়ক রাস্তাঘাট, হাট-বাজার হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় কাদা-পানিতে বিনষ্ট হয় নিত্যপণ্য, শিল্প কাঁচামাল প্রভৃতি। অনেকের বসতঘর তলিয়ে যাবার কারণে রান্নাবান্না করার উপায় ছিলনা।
গত ৩ ও ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত না হলেও সামুদ্রিক জোয়ারে পর পর দুদিন ডুবে যায় দেশের প্রধান পাইকারি বাজার ‘সওদাগরী পাড়া’ চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছদগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের ‘নাভি’ আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও হালিশহর, কাট্টলী, পতেঙ্গা, সাগরিকা এলাকা। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, গেল ২০১৮ সালের জুন মাসে সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম চাক্তাই খালের শেষ প্রান্তে কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে ঊর্ধ্বমুখী জোয়ারের পানি প্রতিরোধক ¯øুইচ গেটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করে দায় সারেন।
তিনি তখন আশ্বাস দিয়েছিলেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আর কোনোদিন জোয়ারের পানিতে ডুববে না। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো কাজের ১০ ভাগ অগ্রগতি নেই। আদৌ ¯øুইচ গেট নির্মিত হবে কিনা তা অনিশ্চিত। সামনে আরও ভারী বর্ষণের সঙ্গে জোয়ার মিলে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা এভাবে তলিয়ে যেতে পারে এমনটি শঙ্কা ভর করেছে এলাকাবাসীর মাঝে।



 

Show all comments
  • রববানী ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৪৫ এএম says : 0
    ইন্দোনেশিয়ার মতো বাংলাদেশের রাজধানী সরানোর প্রস্তাব করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • রববানী ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৫১ এএম says : 0
    ইন্দোনেশিয়ার মতো বাংলাদেশের রাজধানী সরানোর প্রস্তাব করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হোক।তাহলে অন্তত চট্টগ্রামের প্রকৃত উন্নয়ন ও পানি বন্দি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ