পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক নেতারা যদি তৎকালীন পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারতেন তাহলে হয়তো পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের আঘাত আসত না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, এটি কোনো পরিবারের ওপর আঘাত ছিল না, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত। কিন্তু তখন এ বিষয়টি রাজনৈতিক নেতারা উপলব্ধি করেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। বিবিসির সাক্ষাৎকারে খুনি ফারুক-রশিদ নিজেরাই তা স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এ সময় স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আলোচনা সভা হয়। সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা করা হয়। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের বিশাল কর্মযজ্ঞ একদিকে করা, অপরদিকে একটি দেশ, যে দেশটি ছিল পাকিস্তান নামের একটি দেশের একটা প্রদেশ। আর যে ভূখন্ডটা চিরদিন বিদেশিদের, তারাই এদেশের রাজত্ব করেছে। সেই দেশটাকে একটা দেশ হিসেবে, একটা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা- এই কঠিন কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) করে গিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর দেশ শাসনকালে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেই সময় নানা চক্রান্ত চলেছে- পাটের গুদামে আগুন, থানা লুট করা, দুর্ভিক্ষ, আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাতজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর বাহিনী অনেকেই দেশ ছেড়ে ভেগে গিয়েছিল। অনেকেই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল। আন্ডারগ্রাউন্ড বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তারা একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন ছিল ধ্বংসস্ত‚প তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সবাই এগিয়ে এসেছিল, তখন দেশের সর্বোচ্চ জিডিপি ৭ শতাংশ অর্জন হয়েছিল। চালের দাম বেড়ে ১০ টাকা থেকে আবার কমে ৩ টাকায় এসেছিল তখনই এদেশের শত্রæরা তা সহ্য করতে পারেনি। দুর্ভিক্ষ লাগানো হলো পরিকল্পিতভাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যখন ব্যাহত করা যাচ্ছিল না তখনই ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। তখনকার খাদ্য সচিব যে দুর্ভিক্ষ ঘটানোর জন্য দায়ী ছিল তাকে জিয়াউর রহমান মন্ত্রী বানিয়েছিল।
ওই সময়কার পরিস্থিতি তখনকার রাজনৈতিক নেতাদের উপলব্ধিতে আসেনি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তখনকার যে একটা অবস্থা সেই অবস্থা বুঝতেই পারেনি। একটা দেশ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল, শোষিত ছিল তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা হয়েছে। তারা এত সহজে ছাড়বে না। তাদের দোসররা ছিল রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আর তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত অব্যাহত থাকবে- এই উপলব্ধিটা তখনকার দিনে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতার মধ্যেও আসেনি। তাই তারা এটা হয় নাই, ওটা হয় নাই- নানা ধরনের প্রশ্ন, কথা, লেখালেখি অনেক কিছু শুরু করেছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষত-বিক্ষত একটা দেশ, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু একটা দেশ, সেই দেশটাকে গড়ে তোলা যে অত্যন্ত কঠিন-দুরূহ কাজ। এটা যে একদিনেই, একটা কথায় গড়ে ওঠে না- এই উপলব্ধিটা যদি সকলের মাঝে থাকত তাহলে হয়তো ১৫ আগস্টের মতো এত বড় একটা আঘাত এ দেশের ওপর আসত না। তিনি আরও বলেন, কিন্তু তখন কেউ সেই উপলব্ধিটা করে নাই, এটা উপলব্ধি করতে অনেক সময় লেগেছিল তাদের। কেন তারা উপলব্ধি করতে পারে নাই, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক জ্ঞানী-গুণী অনেকেই আছেন।
বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, বাহাত্তর সালের পর থেকে পঁচাত্তর সাল পর্যন্ত অনেক লেখালেখি আছে। কেউ যদি একবার চোখ বুলান, পড়েন তখন দেখবেন কত ভুল সিদ্ধান্ত এবং ভুল কথা তারা বলে গিয়েছিলেন আর সেই খেসারতটা জাতিকে দিতে হলো পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল সেই আলবদর, রাজাকার, আলশামস এবং পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল-দোসর তাদের হাতে চলে গেল ক্ষমতা। তাদের হাতে যে ক্ষমতা চলে গেছে সেটাও বোধহয় অনেকে উপলব্ধি করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে, হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বিরোধিতা করেছিল, যারা কখনও বাঙালি জাতি মাথা তুলে দাঁড়াক তা চায়নি, যারা কখনও বাঙালি জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে চায়নি, যারা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নিতে চেয়েছিল তাদেরই চক্রান্ত ছিল। কারণ বাঙালি জাতির বিজয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, এই বিজয় এরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। তারা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ইশারা পেয়েছিল। খুনিদের এমন মনোভাব ছিল যে তাদের কিছুই হবে না। বিবিসির সাক্ষাৎকারে খুনি ফারুক-রশিদ নিজেরাই এসব কথা স্বীকার করে গেছে।
জিয়াউর রহমান সামরিক আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এলেন। বন্দুকের নলের জোরে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। তিনি হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এরপর তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। তখন অন্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিতে হলো। নাম মোছার রাজনীতি জিয়া শুরু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া নির্দেশ দিয়েছিল কোনো নেতার নামে দলের নিবন্ধন নেয়া যাবে না। যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটি মুছে যায়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তর্ক-বিতর্ক হয়ে দল ভাঙল; সর্বশেষ নিবন্ধন নেয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল ছিল অবৈধ। হাইকোর্ট রায় দিয়ে তাদের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রেসিডেন্ট বলা যায় না। তারা হলেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী।
তিনি আরো বলেন, সামরিক শাসকরা রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করেছিল। অনেকে বলে রাজনীতিবিদদের চাইতে সামরিক শাসণ ভালো। তাদের বলতে চাই, এত যদি ভালো তারা তাহলে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশের কেন উন্নয়ন হয়নি। তারা তো অনেক ভালো। এর জবাব কী দেবেন আপনারা?
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পরিচয় দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা সবাই ছিল পরিচিত। আমাদের ধানমন্ডির বাড়িতে নিয়মিত আসত। জিয়া মাসে একবার হলেও আসত। খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসত মাঝে মাঝে যাতে মায়ের সাথে দেখা করার কথা বলে ওপরে ওঠা যায়। না হলে লবিতে দু’টি মোড়া ছিল তাতে বসতে হতো।
আর খন্দকার মোশতাক তো ছিল বাবার কৃষিমন্ত্রী। মেজর নূর ছিল শেখ কামালের সহকর্মী। নিয়মিত আসত আমাদের বাসায়। জেনারেল ওসমানী যখন মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক তখন কামাল ও নূর তার এডিসি; একই রুমে থাকত তারা। মেজর ডালিম তো তার বউ নিয়ে আমাদের বাসায় পড়েই থাকত। এরা শেষ পর্যন্ত বাবাকে হত্যা করল। এ সময় পরিবারের সবার হত্যার বর্ণনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার আফসোস আমি মাত্র ১৫ দিন আগে দুই বাচ্চা ও রেহানাকে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থল দেশের বাইরে চলে যাই। এভাবে বেঁচে থাকার চাইতে না থাকাই ভালো ছিল। দেশে আসতে পারিনি, ছয় বছর রিফিউজি হিসেবে বাইরে ছিলাম। ১৯৭৯ সালে প্রথম রেহানা সুইডেনে বঙ্গবন্ধুর খুনের প্রতিবাদ করে। একটি কমিশন গঠন হয়েছিল। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশে এসে তদন্ত করতে পারেনি সেই কমিশন। আমি লন্ডনে যাই ১৯৮০ সালে। তখন রেহানা অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এরপর প্রতিবাদ থেমে থাকেনি।
এ সময় জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের দিনে পিতা তোমাকে কথা দিলাম, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে শেষ কথা বলেছেন, প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেবো। আর সেই রক্তই তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে তার স্বপ্নপূরণ হবে। আজ অন্তত এটুকু বলতে পারি। তার আদর্শ নিয়ে আমরা চলেছি। কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি। বাবা-মা, ভাই সব একদিনে হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়েছিলাম। দেশ ছেড়ে যখন যাই সবই ছিল, যখন ফিরে আসি শূন্য। কেউ নেই। সব হারিয়ে কিন্তু পেয়েছিলাম লাখো মানুষ। তাদের আপন করে নিয়েছি। আর আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক, তারাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সেখানেই পেয়েছি বাবা-মা-ভাইয়ের ভালোবাসা, এখানেই আমার সব থেকে বড় শক্তি।
এসব কথা বলার সময় গলা ভারী হয় প্রধানমন্ত্রীর। আবেগ সামলে নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেখান থেকেই আমার বড় প্রেরণা। একটা জিনিসই চিন্তাই রেখেছি- আমার বাবা, এই দেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে। এদেশের মানুষকে মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নত জীবন দিতে হবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আজ বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা অবাক হয় যে, এত দ্রুত কিভাবে একটা দেশ উন্নত হতে পারে। হতে পারে তখনি, যখন যারা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে, যারা নীতি-আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে তারা যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে একটা জাতি উন্নত হয়। কিন্তু যারা পরাজিত শক্তির দোসর তারা ক্ষমতায় থাকলে কোনো জাতি এগোয় না, কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না। আজ জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আদর্শ আমাদের মাঝে আছে। সেই আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে দেশের মানুষের আস্থা-বিশ্বাস পাবেন, সম্মান পাবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, আবদুল মতিন খসরু, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, মারুফা আক্তার পপি, রিয়াজুল কবির কাউসার, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরের সভাপতি রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম-সম্পাদক এম এ কাদের খান, এস এম মান্নান কচি, উপ-প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, সোহেল রানা, যুগ্ম-সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, শাহাদাত হোসেন রকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্মরণে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।