Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এখনো ফাঁকা ঢাকা

শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে ভোগান্তি : সড়কপথে যানজট নেই বিপর্যস্ত সিডিউলে চলছে ট্রেন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে রাজধানীতে কর্মরত দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বাস ও লঞ্চে স্বাভাবিক হলেও ঢাকামুখী ট্রেনে অস্বাভাবিক ভিড়। ঈদের আগের মতোই সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেনগুলো। আজ শনিবার শেষ হচ্ছে টানা ছুটি। রোববার থেকে অফিস করতে হবে তাদের। গতকাল শুক্রবার রওনা হয়েছেন অনেকেই। সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে। সদরঘাটেও ভিড় বেড়েছে। এ দিকে, সড়কপথে গাড়ির চাপ বাড়লেও কোথাও যানজট নেই। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ গাড়ির চাপে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

এ দিকে, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় এখনো ঈদের আমেজ। যানজট আর জনজটের নগরীর সেই চিরচেনা রূপ নেই এখনো। ঈদের এক দিন আগে থেকেই ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। গতকালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রাস্তায় যানবাহন খুব একটা ছিল না। মার্কেট, বিপণিবিতানসহ পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ দোকানই ছিল বন্ধ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ৬৮টি ট্রেন ঢাকায় আসছে। প্রতিটি ট্রেনেই উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ছাদেও আসছে মানুষ। ঈদের আগে এবার ট্রেনের সিডিউল ভেঙে পড়েছিল। ঈদের পরও তা স্বাভাবিক হয়নি। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ট্রেন চলাচল করছে দেরিতে। গতকালও খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে সিল্কসিটি, রংপুরের রংপুর এক্সপ্রেস, লালমণি এক্সপ্রেস, নীলসাগরসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ঢাকায় এসেছে। অন্যদিকে, ঢাকামুখী দূরপাল্লার বাস আসছে যাত্রীবোঝাই করে। গতকাল শুক্রবার ভোরে বগুড়া থেকে আসা এক যাত্রী জানান, রাত ১১টায় বগুড়া থেকে বাসে উঠে ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছেছেন। মাত্র সাড়ে ৫ ঘণ্টায় বগুড়া থেকে ঢাকায় পৌঁছাকে তিনি বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করে বলেছেন, মহাসড়কের অবস্থা ভালো থাকলে এর চেয়ে কম সময়ে আসা যেত। উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, নীলফামারীর যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকা ফিরতে পারলেও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এ রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ২ শতাধিক স্পিডবোট সার্বক্ষণিক ব্যস্ত রয়েছে যাত্রী পারাপারে। তবু যাত্রীদের চাপ মোকাবেলায় সকাল থেকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আরো বাড়তে থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

এ দিকে, পদ্মায় প্রবল স্রোত ও ঢেউ থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোটের তুলনায় যাত্রীদের বেশির ভাগ ফেরিতে পার হতে হচ্ছে এ নৌরুটে। ঘাটে বিআইডবিøউটিএ, বিআইডবিøউটিসি, পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, স্কাউট, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিআইডবিøউটিসি’র কাঁঠালবাড়ি ঘাট ব্যবস্থাপক আ. সালাম মিয়া বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়া শান্ত। ফলে সকাল থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার শেষ হচ্ছে ঈদের ছুটি। তাই সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সারাদিনই ঘরমুখী মানুষের চাপ রয়েছে ঘাট এলাকায়।

এ দিকে, সদরঘাটেও গতকাল উপচে পড়া ভিড় ছিল। প্রতিটি লঞ্চ আসছে যাত্রীবোঝাই করে। যাত্রীরা জানান, পথিমধ্যে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তারা ঢাকা আসতে পেরে খুশি। তবে বেশির ভাগ যাত্রীর অভিযোগ, ফিরতি পথে তাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে লঞ্চের সুপারভাইজাররা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়তি ভাড়া দিলে যেতে পারবেন, না হলে লঞ্চ থেকে নেমে যেতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ