পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে কৃষকরা মাঠে মাচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। আর এ কারণে প্রতি বছর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হওয়া ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছে মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সরেজমিন বাগদহা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে মাচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ। বিশেষ করে, মাচায় চাষ করা কুমড়ার ক্ষেতে বাম্পার ফলন ধরায় কৃষকের মুখেও হাঁসির ঝিলিক বয়ছে। মাচায় মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক নূরুল ইসলাম গাজী। তিনি জানান, গত তিন বছর ধরে মাচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন।
নূরুল ইসলাম বলেন, প্রথম বছর ১৬ শতক জমিতে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়ায় চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেন। পরের বছর চাষ বৃদ্ধি করে ভাল লাভবান হন। এবার তিনি ৫৬ শতক জমিতে চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। মাচায় শত শত মিষ্টি কুমড়া ঝুলে পাকতে শুরু করায় তার মুখে হাঁসির ঝিলিক বয়ে চলেছে।
ক্ষেত পরিচর্যার সময় ওই কৃষক আরও বলেন, বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতে পারে। একই গ্রামে কৃষক দ্বীন মোহাম্মদ গাজী, কামরুল ইসলামসহ প্রায় সবার ক্ষেতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। গ্রামের শিক্ষিত যুবক শামীম আখতার মুকুল বলেন, কৃষকরা মাচায় আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে সাড়া ফেলায় ইতিমধ্যে মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
কৃষক নূরুল ইসলাম গাজী বলেন, তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রির জন্য হাট-বাজারে নিয়ে যাওয়া লাগেনা। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে এসেই কিনে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রেও কৃষকরা লাভবান হন। গ্রামের কৃষকরা প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সাড়া ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মহাদেব চন্দ্র সানা ইনকিলাবকে বলেন, মাচায় আধুনিক পদ্ধতির মিষ্টি কুমড়ার চাষ খুবই পরিবেশ বান্ধব। মাছি পোকা দমনের জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে যা পরিবেশ বান্ধব। এ চাষে কীটনাশক ব্যবহার ব্যবহার না করলেও চলে। আর কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। যে কারণে প্রতিবছর ওই গ্রামটিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।