Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ছে

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঈদের ছুটি শেষে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। লঞ্চগুলোতে ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। ফেরিতে যানবাহনের চাপ সহনীয় থাকলেও যাত্রী চাপ বেশি দেখা গেছে। কাঁঠালবাড়ি থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোট ও লঞ্চগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া থেকেও দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী চাপ উল্লেখযোগ্য ছিল। ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র‌্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
ঘাটের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চে ভিড় সামাল দিতে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র‌্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল। ফেরিতে যানবাহনের চাপ তেমন নেই তবে যাত্রীদের পর্যাপ্ত চাপ ছিল। স্পিডবোটেও যাত্রী চাপ ছিল সহনীয়। বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিটি যানবাহন বোঝাই হয়ে যাত্রী নিয়ে কাঠালবাড়ি ঘাটে আসছে। তবে ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুনতে হয়েছে দেড় থেকে দ্বিগুন ভাড়া। এ রুটের স্পিডবোট ও কিছু কিছু লঞ্চেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নদী পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকেও বাড়তি ভাড়া গুনে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
যশোর থেকে ঢাকাগামী রোকেয়া ইসলাম বলেন, যশোর থেকে মাইক্রোবাসে ভাড়া দেড়শ’ টাকার স্থলে ৩শ’ টাকা নিয়েছে আর স্পিডবোটে ১শ’ ৩০ টাকার ভাড়া নিলো ২শ’ টাকা। শিমুলিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত আর কত বেশি ভাড়া নিবে তা বুঝতে পারছি না।
লঞ্চযাত্রী আরমান হোসেন বলেন, বরিশাল থেকে মাইক্রোবাসে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসেছি। এখন লঞ্চে উঠবো। কিন্তু লঞ্চে যাত্রীর পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি। বাড়িতে যাওয়ার পথে লঞ্চে ৩৫ টাকার ভাড়া দিয়েছি ৪০ টাকা, এখন কত নিবে জানি না।
বিআইডব্লিউটিএর টিআই মো. আক্তার হোসেন বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়ছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র‌্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবির হোসেন বলেন, ফেরিতে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। আমরা অনেক ফেরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধুমাত্র যাত্রী লোড দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি লঞ্চ ও ফেরি আনা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ