পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এক হাজার ৭৬৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পেলেই এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হবে।
এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার গনমাধ্যমকে জানান, তালিকা চ‚ড়ান্ত করে আমরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান এমপিও পাবে।
অপরদিকে সবাইকে একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করতে না পারলেও আংশিকভাবে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। এই ‘সামান্য’ সংখ্যক এমপিও দেওয়ার বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক নেতারা।
সূত্র জানায়, একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিতে চায় না। সব প্রতিষ্ঠানকে যোগ্যতা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর এমপিওভুক্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সব শর্ত প‚রণ করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে নতুন এমপিও দিতে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে নতুন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও পায়নি।
সূত্র আরো জানায়, সারাদেশে এমপিওভুক্তির জন্য চ‚ড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের কলেজ। এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ছয় হাজার ১৪১টি। যাচাই-বাছাই শেষে সব শর্ত পূরণ করে অথবা বিশেষ বিবেচনায় যোগ্য হয়েছে এক হাজার ৭৬৩টি। এমপিওভুক্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে চার হাজার ৪৯৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এমপিও তালিকায় চ‚ড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫শ’ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এক হাজারের মতো মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬০টির বেশি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৯০টির বেশি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ৫০টির বেশি ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কাউকে বঞ্চিত করা হবে অমানবিক। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী সবার ব্যবস্থা করবেন। সবাইকে একসঙ্গে এমপিও দেওয়া না গেলে সাময়িকভাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আংশিক এমপিও দেওয়া হোক। পরে পর্যায়ক্রমে পুরো এমপিওভুক্ত করা হোক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, যোগ্য সব প্রতিষ্ঠানকেই এমপিওভুক্ত করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মানোন্নয়ন ঘটালে সব প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হবে। পর্যায়ক্রমে এক হাজার স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেতন কাঠামোর আওতায় এনে এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো এখনও তৈরি করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।