Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে মূল্য না পাওয়ায় চট্টগ্রামে কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিপুল চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। আড়তদারদের হিসাবে, বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রায় দুই লাখের মতো চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। চামড়া সংগ্রহ করা গেছে ৭০ শতাংশ। এদিকে চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং দাম না পাওয়ায় হতাশ মাদরাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ সামাজিক অবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোরবানির পশুর চামড়ার স্মরণকালের সর্বনিম্ন দর ছিল এবার। তাই কেউ পানির দরে বিক্রি করলেও কেউ ফেলে দিয়েছেন রাস্তায়। নষ্টও হয়ে গেছে হাজার হাজার চামড়া। দুই দিনে সিটি কর্পোরেশন দেড় লাখের বেশি চামড়া সড়ক থেকে কুড়িয়ে বর্জ্য হিসেবে অপসারণ করেছে।

চামড়া নিয়ে হাহাকার থামেনি চট্টগ্রামে। মওসুমি ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিপাকে পড়েছে অনেক মাদরাসা, এতিমখানাসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আবার বিপুল চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, পূরণ হচ্ছে না আড়তদারদের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও। বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মওসুমি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত চামড়া ট্রাকে নিয়ে আসা হয় আড়তদারদের কাছে। তবে মূল্য না পাওয়ায় এসব চামড়া বিক্রি হয়নি। অনেকে রাগে-ক্ষোভে আড়তের আশেপাশের সড়কে চামড়া রেখে চলে যান। প্রতিবছরের মতো এবারও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চামড়া জড়ো করেন মওসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে আড়তদারের প্রতিনিধিরা এসব চামড়া কিনতে না আসায় তা ফেলে যান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আড়তদাররা বলছেন, রাস্তায় চামড়া নষ্ট হয়ে গেলেও তারা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে পারেননি। এজন্য তারা পুঁজি সঙ্কটকে দায়ী করেন। আড়তদাররা বলেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের দীর্ঘদিনের পাওনা রয়েছে। সে পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। চামড়া কেনার জন্য আড়তদাররা ব্যাংক থেকেও কোন সহযোগিতা পাননি। নগ টাকা সঙ্কটের কারণে চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানান কয়েকজন আড়তদার।
এবার চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ লাখ চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আড়তে পৌঁছেছে তিন লাখের কিছু বেশি। আরও কয়েক হাজার দুয়েকদিনের মধ্যে পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত পূরণ হবে না লক্ষ্যমাত্রা। চামড়া ব্যবসায় সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে প্রায় ছয় লাখের মতো গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কোরবানি দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে মোট আড়তদার আড়াইশোর মতো। কিন্তু এবার চামড়া কেনার জন্য মাঠে ছিলেন মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন। বেশিরভাগ আড়তদার লোকসানের মুখে চামড়া সংগ্রহ থেকে বিরত থাকেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ