পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সিদ্ধান্ত অমান্যের কারণে কয়েশ’ নেতাকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে শতাধিক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দলটি। ফলে এসব নেতা এখন দলের সব ধরনের কর্মকান্ডে ফের সক্রিয় হচ্ছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সাতজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রমতে- সংগঠনে শৃঙ্খলা অটুট রাখতে বিএনপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ কিছু করলে অর্থাৎ নিয়ম ভাঙলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেননা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো ধরণের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড। ফলে গত মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটির বহু নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। যা দলীয় সিদ্ধান্তের স্পষ্ট লঙ্ঘন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করে বিএনপি। অনেককে শোকজ নোটিশও দেয়া হয়। অতপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ছয় মাস পর দলীর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এখন বহিষ্কৃতদের মধ্যে যারা আবেদন করছেন তা বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে তাদেরও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি দলগতভাবে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় সর্বমোট ২০৫ জন নেতাকে তখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এদের বেশিরভাগই স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী এবং দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে সংসদে যোগদান এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপি আগের অবস্থান থেকে সরে আসায় বহিষ্কৃত নেতাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে এখন যৌক্তিক মনে করছেন দলের হাইকমান্ড। সে কারণে ইতোমধ্যে শতাধিক নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ৯ জুলাই বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৮ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিএনপি। সর্বশেষ গত বুধবার বিএনপির এমপি ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুর রহমানসহ ৭ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়। বাকি নেতারাও তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় দফতরে আবেদন করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক দলে বহিষ্কারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। যেসব নেতাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করবেন বা করেন তাদের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড কঠোর অবস্থানে যায়। সুতরাং যেসব নেতা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিশেষ করে এবছরের গত ১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অংশ নেয়ার কারণে তাদেরকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার করা হয়েছে ৯ জনকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ১০ জন, পহেলা মার্চ ১ জন, ৩ মার্চ ৮২ জন এবং ৫ মার্চ বহিষ্কার করা হয় ৮ জন, তারপর ১৮ জনসহ পর্যায়ক্রমে ২০৫ জন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। যাদের প্রায় সবাই উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। বিএনপির দফতর সূত্র জানায়, দলের হাইকমান্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ভুল স্বীকার করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাদের আবেদন করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলমান।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব (দফতরের দায়িত্বে নিয়োজিত) রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছিল যে, বর্তমান বিনাভোটের সরকার ও অকর্মা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। এখন দলের হাইকমান্ড সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। ইতিমধ্যে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা সবাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। যেসব নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিল তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের আবেদনও বিবেচনা করবেন বিএনপির হাইকমান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।