Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৪ এএম, ১১ আগস্ট, ২০১৯

আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। আরবি শব্দ ঈদের অর্থ আনন্দ উৎসব এবং আজহার অর্থ পশু জবাই করা। মুসলমানদের জন্য ঈদুল আজহা একই সঙ্গে পশু কোরবানি দেয়ার এবং উৎসব করার দিন।

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের আমেজে সারা দেশে উদযাপিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করবে ধর্মীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসব। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ঈদগাহগুলো ইতোমধ্যেই ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির এ প্রচলন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অনন্য এ ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় কোরবানির প্রচলন।

মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।

মুসলমানদের দু’টি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম ঈদুল আজহা শুধু পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতাই নয়, এ ঈদ সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মসমর্পণ ও আত্মোপলব্ধির শিক্ষা দেয়।

ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে সূরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ সূরা হজে বলা হয়েছে ‘কোরবানি করা পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা’।
কোরবানির মূল উদ্দেশ্যই তাকওয়া বা খোদাভীতি। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘এগুলোর গোশত আমার কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়।’

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আজহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দীয় নয়।’ অন্যত্র বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি দিলো না, সে যেন আমার ঈদগাহে না যায়।’
কোরবানির পশুর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে, আরেক ভাগ গরিবদের মধ্যে বণ্টন এবং বাকি এক ভাগ নিজেরা খাওয়া সুন্নত। ঈদুল আজহার দুই রাকাত নামাজ জামাতে আদায় করা ওয়াজিব। কোরবানি ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজের যেকোনো দিন করা যায়। তবে প্রথম দিন করাই উত্তম।

ঈদের দিন বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মী, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এ দিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অন্য নেতৃবৃন্দ যারা ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

 

প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এক বাণীতে দেশবাসিসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের আনতরিক শুভেচ্ছও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেছেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। প্রেসিডেন্ট বলেন, কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক এ প্রত্যাশা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাণীতে দেশবাসিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, শান্তি, সহমর্তিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার এ দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
এছাড়া , ঈদুল আযহা উপলক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও এক বাণীতে দেশবাসির ্প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ