Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ মুহূর্তের জনস্রোত

নজরুল ইসলাম রাজবাড়ী ও এম সাঈদ আহমাদ শিবচর থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যে মধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন লাখো মানুষ। কিন্তু শেষ সময়ের যাত্রাটা খুব একটা স্বস্তির হচ্ছে না। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাটে নেমেছে মানুষের ঢল। ঘাট এলাকায় তিল ধারনের জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের চাপে যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এদিকে, গতকাল শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটেও যাত্রীদের ঢল নামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে খালি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট শিমুলিয়ায় পাঠানো হয়।
শনিবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, সকাল থেকেই লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় অসংখ্য ঘরমুখী মানুষের চাপ। তবে পর্যাপ্ত যানবাহন থাকায় ফেরি ঘাটে এসে তেমন কোন ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গন্তব্যে পৌছাতে পারছেন যাত্রীরা। পণ্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে সরাসরি যানবাহন গুলো ফেরিতে উঠতে পারছে। তবে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের চাপে ফেরিতে যানবাহন পারাপার ব্যবহত হচ্ছে।


গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে ফেরির টিকিটে দালালচক্র ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতা ঘাট এলাকায় নেই বললেই চলে। এবারের ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।
বিআইডবিøটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, বর্তমানে এই রুটে ২০ টি ফেরি চলাচল করছে। প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না হলে এবারের ঈদে আশাকরি মানুষ নির্বিঘেœ দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবে।

অন্যদিকে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে যাত্রীদের ঢল নামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে খালি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট শিমুলিয়ায় পাঠানো হয়। ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট সর্বত্রই যাত্রী আর যাত্রী। নৌযানগুলোতে ভাড়া বাড়ানোর কারণে বাড়তি ভাড়া গুনে গন্তব্যে পৌছান যাত্রীরা। এদিনও কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে গরু বোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে ফেরি কর্তৃপক্ষ। ঘাটে পুলিশ, র‌্যাব, ভ্রাম্যমান আদালতসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন যাত্রীরা। শিমুলীয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে ৩৫ টাকা ভাড়ার টিকেট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা ও স্পিডবোটে ১৩০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। পদ্মা পাড়ি দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসেও যাত্রীরা আবারো পড়ছেন বাড়তি ভাড়ার দৌরাত্বে।

স্পীডবোট যাত্রী মাহফুজা আক্তার বলেন, বাসে গুলিস্থান থেকে শিমুলীয়া পৌছতে ৭০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ২০০ টাকা, এখন পদ্মা পার হতে স্পিডবোটেও ১৩০ টাকার ভাড়া নিলো ২০০ টাকা।
লঞ্চযাত্রী আজিজুল হক বলেন, ঢাকা থেকে সারা পথই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে শিমুলীয়া এসেছি। লঞ্চে উঠে নদী পার হলাম। লঞ্চের টিকেটে লেখা ৩৫ টাকা আর আমাদের কাছ থেকে তারা ভাড়া নিলো ৪০ টাকা। এটা কেউ দেখছে না।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদে ঘরমুখো দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। কোথাও ভাড়া বেশি বা অন্য কোন ভাবে যাত্রী হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ