Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিভিন্ন ফেরিঘাটে আটক আরো দেড় সহস্রাধিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ইতিহাসের সর্বাধিক সংখ্যক যানবাহন পারাপারের পরেও দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে দেড় সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়ে আছে। হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগের সীমা নেই। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ঘাট এসে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

পদ্মার প্রবল স্রোতে মাওয়া সেক্টরে ‘মিডিয়াম টাইপ’ ফেরিগুলো লৌহজং চ্যানেল দিয়ে রাতের বেলা পাড়ি দিতে পাড়ছে না। পদ্মার পাটুরিয়া ও মাওয়া সেক্টরেই উজানের অত্যাধিক বালু মিশ্রিত ঘোলা পানির প্রবল স্রোতে ফেরি চলাচল যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিআইডব্লিউটিসি’র ৫০টি ফেরির মধ্যে ৪৯টি দিনরাত যানবাহন পারপার করছে আরিচা, মাওয়া, শরিয়তপুর, ভোলা এবং লাহারহাট সেক্টরে। এরপরেও যানবাহনের কমতি নেই। নিম্নচাপজনিত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মাওয়া, চাঁদপুর-শরিয়তপুর এবং ভোলা-লক্ষীপুর সেক্টরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যে যানযজটের সৃষ্টি হয়, তার রেশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক ১৭ হাজার ১২৭টি যানবাহন পারাপার করেছে বিআইডবিøউটিসি’র ফেরি বহর। কিন্তু এরপরেও অপেক্ষমান ছিল দেড় সহস্রাধিক যানবাহন। এ সময়ে আরিচা সেক্টরের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ২০টি ফেরির মাধ্যমে দশ সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমাণ ছিল আরে ৫ শতাধিক। অপরদিকে মাওয়া সেক্টরের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি এবং মঙ্গলমাঝির ঘাট রুটেও ১৮টির মধ্যে ১৭টি ফেরি আরো ১০ হাজার ৮৩টি যানবাহন পারাপার করলেও শিমুলিয়া ঘাটে ৫ শতাধিক পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। মাওয়া সেক্টরে ‘ডাম্ব ফেরি-রনীগঞ্জ’ বন্ধ রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে।

চাঁদপুর-শরিয়তপুর সেক্টরে ৫টি কে-টাইপ ফেরি ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৯টি যানবাহান পারাপারের পরে শনিবার সকালে অপেক্ষায় ছিল আরো সোয়া ২শ’ যানবাহন। অপরদিকে চট্টগ্রামের সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের ভোলা-লক্ষীপুর সেক্টরে ২৬৭টি যানবাহন পারাপার হলেও অপেক্ষায় ছিল ২৪২টি। ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্বাধিক দূরত্বের এ ফেরি সেক্টরে মাত্র ৩টি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করায় পারাপারকৃত যানবাহনের প্রায় সমসংখ্যকই প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকছে। উপরন্তু এ ফেরি সেক্টরের লক্ষীপুর প্রান্তের ‘রহমতখালী চ্যানেল’র মুখে নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচল জোয়ারের ওপর নির্ভরশীল। ঐ একই মহাসড়কের ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী লাহারহাট-ভেদুরিয়া সেক্টরে শনিবার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪শ’ যানবাহন পারপার হলেও অপেক্ষমাণ ছিল আরো প্রায় সোয়াশ’। এ সেক্টরে ৪টি ‘ইউটিলিটি টাইপ-১’ ফেরি যানবাহন পারাপার করছে।

এদিকে ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে দেশের সব ফেরি সেক্টরেই সোমবার সকাল পর্যন্ত যানবাহনের চাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিআইডবিøউটিসি’র চেয়ারম্যন-অতিরিক্ত সচিব প্রনয় কান্তি বিশ্বাস। তার মতে, বহরের ৫০টি ফেরিই সচল রাখার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বিআইডবিøউটিসি। তবে যাত্রীবাহী সেক্টরে নৌযান সঙ্কটের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, নির্মানাধীন দুটি নতুন নৌযান গত জুনে সরবারহের কথা থাকলেও নির্মাতা ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু ‘পিএস মাহসুদ’ জাহাজটি বিকল হয়ে পড়ায় সঙ্কট কিছুটা বেড়েছে। ‘পিএস অস্ট্রিচ’ জাহাজটি যাত্রী পরিবহন থেকে সরিয়ে আগের একজন মন্ত্রী বিনা দরপত্রে বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ