পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করা দরকার। ডেঙ্গু নিয়ে স্ববিরোধী, বিপরীতধর্মী কথাবার্তা, রাতের কথার সাথে সকালের কথার গরমিল। দেশব্যাপী যেমন এডিস মশার বিস্তারে কোন বিরতি দেখা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি মন্ত্রীদেরও হাসি-তামাশা উদ্রেককারী কথাবার্তারও কমতি দেখা যাচ্ছে না। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেছেন-‘দেশ উন্নত হচ্ছে বলেই ডেঙ্গু হচ্ছে, যে দেশ যতবেশি উন্নত হচ্ছে সেদেশে ততবেশি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু এলিট শ্রেণীর মশা।’ তিনি আরও বলেছেন-‘সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও কলকাতা শহরে ডেঙ্গু দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ যেহেতু এখন উন্নত হচ্ছে, তাই এখানেও ডেঙ্গু হচ্ছে।’ মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যগুলো শুনে এগুলোকে ‘টক অব দি সেঞ্চুরি’ বলবো নাকি ‘শক অব দি সেঞ্চুরি’ বলবো, এ নিয়ে দ্বিধায় আছি।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী কোন ব্যুরো থেকে উল্লিখিত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করেছেন তা জানালে দেশবাসীর উপকার হতো। দেশ উন্নত হলে যদি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তাহলে লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, কোপেনহেগেন ইত্যাদি উন্নত দেশের শহরগুলোতে ডেঙ্গুতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাতো। এহেন মন্ত্রীদের উদ্ভট বোলচালে জনজীবন ডেঙ্গুর মতোই বিপর্যস্ত। তবে মন্ত্রী বোধহয় আসল কথাটি বলতে চেয়েছেন একটু অন্যভাবে যে, উন্নয়নের নামে দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা পকেটস্থ হলেই ডেঙ্গুর মতো প্রাণবিনাশী বালা মুসিবত দেশে বিস্তার লাভ করে। মশা নিধনের টাকা লুটেপুটে খেয়েছে মেয়র’রা। সুতরাং আর্থিক উন্নতি হয়েছে মন্ত্রী-মেয়রদের, দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি।
মন্ত্রীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে স্ববিরোধী, বিপরীতধর্মী কথাবার্তা, রাতের কথার সাথে সকালের কথার গরমিল, ইত্যাদি এধরণের কথা থেকে সিকি-আধুলি ও গোটা মন্ত্রী কেউই কম যাচ্ছেন না। ওবায়দুল কাদের সাহেব ক’দিন আগে বলেছেন যে, সবাই ঈদে বাড়ী যাবেন কোন অসুবিধা নাই। বৃহস্পতিবার আবার বলেছেন-বাড়ী যাবার আগে রক্ত পরীক্ষা করে যাবেন। বিবিসি’র সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন-এডিস নিয়ে মিডিয়ার বাড়াবাড়িতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। মূলত, মেয়র থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের দুঃখ-দুর্দশাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ঠাট্টা মশকরা করছেন।
সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে কোন ঠাঁই নেই অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ডেঙ্গু রোগীতে ছেয়ে গেছে সব হাসপাতাল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রক্ত পরীক্ষা করতে পারছে না রোগীরা। কেউ কেউ অনেক কষ্ট করে রক্ত পরীক্ষা করেও রিপোর্ট পেতে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। যেদিন রিপোর্ট দেয়ার কথা বলা হয়, সেদিন রোগীরা রিপোর্ট পান না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট নিয়ে প্রচÐ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পরিবারগুলোকে। আবার হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অসংখ্য শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে কাতরাচ্ছে শিশু বাচ্চারা। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কোন সক্ষমতা নেই এই সরকারের। উন্নয়নের নামে পকেট ভারী করার জন্যই আজকে ডেঙ্গুর মতো এই দুর্যোগ মোকাবেলায় অক্ষম সরকার। মশা নিধনে যদি সত্যিকারের কার্যকরী ঔষুধ নিয়ে আনা হতো তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতো না। মানুষ বাঁচাতে সরকারের কোন দায়দায়িত্ব নেই। তারা যেটি করছে সেটি হলো লোক দেখানো মশা নিধনের নামে ক্যামেরা শ্যুটিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।