পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ায় কারাগারে থাকা বন্দিদের নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন কারাবন্দির ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো ছাড়াও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
কারাসূত্রে জানা যায়, দেশের কারাগারগুলোতে গণহারে সব বন্দিদের মশারি ব্যবহারের নিয়ম না থাকায় ৮৬ হাজারের বেশি কারাবন্দি মশারি ছাড়াই দিন কাটান। এসব বন্দিরা অনেক গাদাগাদি করে কারাগারগুলোতে অবস্থান করায় তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। যদিও এখন পর্যন্ত বন্দিদের কারো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং নিয়ম করে মশার ওষুধ ব্যবহারের কারণেই কারা এলাকায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতার প্রভাব পড়েনি। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিদিন নিয়ম করে দুইবার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। কারাগারের ভেতর ও আশপাশের ড্রেন, ঝোপঝাড়েও দেয়া হয় মশা নিধনের ওষুধ। ডেঙ্গু থেকে রক্ষার জন্য বাড়তি সচেতনতা হিসেবে দেশের সবগুলো কারাগেরেই চলছে এই বিশেষ কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারাগারে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য বেসরকারি পর্যায় থেকে ওষুধ কেনা হচ্ছে। প্রতিটি কারাগারে ফগার মেশিন চালানোর জন্য বিশেষ দল তৈরি করে তাদের দিয়ে ওষুধ ছেটানো হয়। এ ছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলাদা দল গঠন করে কারাগারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। কারাগারে ব্যবহৃত ওষুধে মশা মরছে বলেও কারাসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, একটি সেল গঠন করে ডিআইজির অধীনে যে কারাগারগুলো রয়েছে সেগুলোতে তিনি নিয়মিত পরিদর্শন করছেন। তার পাশাপাশি একটি রিপোর্টিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। রিপোর্টি সিস্টেমের মাধ্যমে কারাবন্দি এবং কারারক্ষীদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। সমন্বিতভাবে করা সে রিপোর্ট প্রতিদিন সন্ধ্যায় তারা প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, ডিভিশন ও হাসপাতালে যে বন্দিরা আছেন তাদের মশারি দিতে পারলেও যারা সাধারণ বন্দি আছেন তাদের দিতে পারি না। তারপরও আমাদের সার্বিক প্রয়াস ও সমন্বিত উদ্যোগের কারণেই দেশের ৬৮টি কারাগারে থাকা ৮৬ হাজারেরও বেশি বন্দির কেউই এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি। ঈদের ছুটিতেও যাতে ডেঙ্গু ছড়াতে না পারে সেই সতর্কতাও নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।