পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল, কিন্তু সফল হইনি। এ কথাটা ঠিক আছে। সিটি কর্পোরেশনগুলো তাদের দায়িত্ব আমি বলব তারা পালন করছে না। তিনি বলেন, ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধে সারাদেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে ৫৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশে এডিস মশা আসার সম্ভাব্য উপায় তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, হয়তো বিদেশ থেকে কিছু মশা বিমানের ভেতরে চলে আসছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা করে এবং ঢাকার বাইরের সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ৮ কোটি টাকা ও সারাদেশের পৌরসভাগুলোকে ৩০ কোটি টাকাসহ মোট ৫৩ কেটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজে ব্যয় হবে। কলকাতা ৭-৮ বছরের কর্মসূচির মধ্য নিয়ে সফল হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এডিস মশা নিধনে আমাদের বছরভর সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কলকাতা অনেক বেশি অর্জন করেছে এবং ফলাফল অনেক বেশি পেয়েছে। তারা বলেছেন, তারা সব মানুষকে সচেতন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এজন্য ৭-৮ বছরের ব্যবধানে তাদের ওখানে এখন এডিস মশা একেবারেই নগণ্য। আমরা যখন গিয়েছিলাম তাদের ৭০০ রোগী ছিল। আমাদের দেশে ওই সময়ে পাঁচ হাজারের বেশি ছিল। আমরা মনে করি, তাদের অনুসরণ করার মতো কিছু ছিল, আছে। তারা বলছে তাদের টোটাল অ্যাফোর্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ পাবলিক অ্যাওয়ারনেস। এজন্য স্লোগান ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ডেঙ্গু নিধনে সজাগ থাকতে হবে বছরভর, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল, কিন্তু সফল হইনি। এ কথাটা ঠিক আছে। সিটি কর্পোরেশনগুলো তাদের দায়িত্ব আমি বলব তারা পালন করছে না, তবে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা সেখানে তারা পৌঁছেছে- এটাও আমি মনে করি না।
তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ অভিক্ষেপণ বিবেচনায় নিয়ে সরকার টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের কৌশল গ্রহণ করেছে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ড. কাজী আনোয়ারুল হক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান ছাড়াও বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।