পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী গভীর নিম্নচাপটি গতকাল ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সরে গেছে। এরফলে বাংলাদেশে এর তেমন বড় প্রভাব পড়েনি। মৌসুমী নিম্নচাপের কারণে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও উবে গেছে। ভরা শ্রাবণের শেষ দিকে এসেও সারাদেশে সার্বিক হিসাবে ‘স্বাভাবিক’ বৃষ্টিপাতে ঘাটতি রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ রয়েছে অস্বাভাবিক বাড়তি।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরে বর্ষার মৌসুমী বায়ু বর্তমানে জোরালো থাকায় আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের ওপর বর্ষার বায়ুমালা অধিক মাত্রায় সক্রিয় হতে পারে। এরফলে দেশে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আসছে ঈদুল আযহার কয়েকদিন হতে পারে বর্ষণমুখর।
গভীর নিম্নচাপটি ভারতের দিকে সরে যাওয়ার ফলে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে বেশি বৃষ্টি ঝরেনি। এমনকি খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপক‚লীয় অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত হয় হালকা থেকে কোথাও মাঝারি ও বিক্ষিপ্ত। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঢাকাসহ অনেক এলাকায় আগের চারদিনের চেয়ে পারদ নিচে নেমেছে। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তেঁতুলিয়ায় ৭০ মিলিমিটার। ঢাকায় ১৩, চট্টগ্রামে ১১, ময়মনসিংহে ৬, সিলেটে ১, খুলনায় ১২ মি.মি.। তবে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল নগরে কোনো বৃষ্টির ফোঁটা পড়েনি এ সময়।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপক‚লীয় এলাকায় অবস্থানরত বর্ষার মৌসুমী গভীর নিম্নচাপটি গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এটি ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপক‚ল (বালেশ্বর এলাকা) অতিক্রম করছিল। এটি গতকাল বিকেলে ওই এলাকায় অবস্থান করে। যা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কি.মি. পশ্চিম,দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৩০ কি.মি. পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
মৌসুমী গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল রাতে উপক‚ল অতিক্রম করে যাচ্ছিল বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ। এর সক্রিয় প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৌসুমী গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌসুমী গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মৌসুমী গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপক‚লীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার কাছাকাছি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।