পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুনানি করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এতে অন্য মামলার শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে ৮ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী (পরবর্তীতে আসামি) আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির তারিখ পুন:নির্ধারণ করেন। আদালত মিন্নির পক্ষের কৌঁসুলির উদ্দেশ্যে বলেন, এ মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে অনেক সময় লাগতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) যদি আমরা এ আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ করি তাহলে অন্য মামলাগুলো শুনানি নিতে সময় পাবো না। এ কারণে সপ্তাহের শেষ দিন এটি শুনানির জন্য রেখে দিলাম।
গতকাল আদালতে মিন্নির পক্ষে জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জেড আই খান পান্না । সরকারপক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম। এর আগে গত ৫ আগস্ট সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার শুনানির তারিখ ধার্য রেখেছিলেন। ওইদিন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জামিন আবেদন করেন । গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ জুলাই বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৭ জুলাই বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নিকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায পুলিশ। শুনানি শেষে মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত ২২ জুলাই বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমবার মিন্নির জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে ওইদিনই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর ৩০ জুলাই ফের জামিন আবেদন করেন মিন্নি। আদালত সেটিও নামঞ্জুর করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।