Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রহ্মপুত্রে আটকে আছে পাথর বোঝাই জাহাজ

মিলছে না অনুমতি

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাটের পূর্বদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি পাথর বোঝাই জাহাজ ১৩ দিন ধরে আটকে আছে। ভারতের আসাম থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ দুটিতে ৫’শ মেট্রিক টন পাথর আছে বলে জাহাজের ক্রুরা জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশী দুই ব্যবসায়ী ভারতের আসাম থেকে নৌ-পথে এসব পাথর আমদানী করেছেন এবং তারা নিয়ম মেনেই তা আমদানী করেছেন। কিন্তু কাস্টম কর্মকর্তা বলছেন ভ‚টানের পণ্য শুধু বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা দিয়ে আমদানী করার অনুমতি আছে। কিন্তু দুই ব্যবসায়ী কাস্টমসের কোন ক্লিয়ারেন্স না নিয়েই নৌ-পথে পাথর আমদানী করেছেন। এই জটিলতার কারণে জাহাজটি ১৩ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদে আটকা আছে। এ পাথর বোঝাই জাহাজ দুটির বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছে রংপুর কাস্টমস বিভাগ। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে রংপুর কাস্টমস অফিস সূত্র জানায়।
এদিকে পাথর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন খান জানান, গত ২৫ তারিখ থেকে জাহাজ দুটি আটক রেখে নানা টালবাহানা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। সম্ভাবনার একটি নতুন দিগন্তকে গলা টিপে হত্যা করতে চাইছেন তারা। তিনি আরো বলেন, ৭১’র পর আসাম থেকে জলপথে পাথর আমদানি এই প্রথম। এর আগে গত ১৮ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপ ভ‚টান থেকে এ পথেই পাথর আমদানি করেছেন। এটাকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত বলে অভিহিত করেন ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের হাইকমিশনারগণ। কিন্তু অজানা কারণে কাস্টমস্ গত ১৩ দিন ধরে পাথর বোঝাই (এমবি ঈগল ও এমবি বদিউজ্জামান-২) জাহাজ দুটোকে আটকে রেখেছেন। জাহাজ দুটি আটক থাকার কারণে আমাদের প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
কুড়িগ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুল হকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জাহাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ৫ মিনিট পর নিজে ফোন করার কথা বলে ফোন কেটে দিয়েছে। কিন্তু পরে আর তিনি ফোন দেননি।
তবে কাস্টমস এর রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জাহাজ দুটোকে আটকে রাখা হয়েছে তা মানতে নারাজ। রাজস্ব ও আমদানীর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও কোন কারণে জাহাজ দুটোকে আটকে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর কাস্টমস এর (সেক্রেটারী ২য়) কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জানান, ব্রহ্মপুত্র দিয়ে নৌরুটে আমদানীর বিষয়ে উভয় দেশের চুক্তি হলেও বাস্তবিক পক্ষে আমরা এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটি তদারকি করতে চিলমারী পয়েন্টে আমাদের লোকবল এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটি না জেনেই শেরপুরের দুজন ব্যবসায়ী ভারত থেকে পাথর আমদানি করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ