পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের এখনও ৫দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে শনিরআখড়ার কোরবানির পশুর হাট। নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই বসেছে শনিরআখড়ার অস্থায়ী পশুর হাট। ইতোমধ্যে ৮ লেনের এই মহাসড়কের এক লেন চলে গেছে হাটের দখলে। ঢাকার বাইরে থেকে আসা পশবাহী ট্রাক থেকে পশু নামাতে গিয়ে আরও এক লেন দখল হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার ৮ লেন মহাসড়কের পশ্চিম দিকে সার্ভিস লেনের এক ইঞ্চিও খালি নেই। দনিয়া থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ভরে গেছে গরুতে। এমনকি মহাসড়ক থেকে দনিয়া এলাকার যাওয়ার সংযোগ সড়কটিতে গরু রাখা হয়েছে। অন্যদিক, শনিরআখড়ার একমাত্র আন্ডারপাস হাটের ইজারাদারের লোকজন বন্ধ করে রাখায় দনিয়া, নূরপুর এলাকার লাখ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অন্যদিকে, দনিয়া এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশেই গরু রাখা হয়েছে। এমনকি প্রধান সড়কের ফুটপাতও দখলে নিয়েছে ব্যাপারীরা। এতে করে ওই এলাকার ৫/৬ লাখ মানুষ ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও ছুটি হয়নি। গতকাল মঙ্গলবারও শিক্ষার্থীদের স্কুল যাওয়া-আসা নিয়ে অবিভাবকদের উদ্বিগ্ন দেখা গেছে।
এলাকার প্রধান সড়ক গরুতে দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকার ৫/৬ লাখ মানুষের চলাচলেরও উপায় নেই। বাকি ৫ দিন তারা কিভাবে পার করবেন সে চিন্তায় অনেকেই উদ্বিগ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন কোরবানির ঈদ এলেই কেন দনিয়া এলাকাবাসীকে এভাবে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হবে? স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই রাস্তা দখল করে গরু রাখা হলেও পুলিশ তা দেখেও না দেখার ভান করে। এমনকি রাস্তায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করার পরেও পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয় না।
শুধু শনিরআখড়া নয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজধানীর অন্যান্য এলাকাগুলোতেও কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও নৌ পথে আসছে কোরবানির পশু। এতে অস্থায়ী হাট এলাকায় পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটসহ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আগামী ৮ আগস্ট থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কোরবানির হাটের সময় নির্ধারণ করে দেয়। অথচ নিয়ম ভেঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগে হাট শুরু হওয়া এবং নির্ধারিত স্থান রেখে পাড়া মহল্লায় হাট বসানোর বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। রাজধানীতে আগেভাগে পশুর হাট এবং স্থানীয়দের ভোগান্তি প্রসঙ্গে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা সাবরিন রাসেল বলেন, ৮ আগস্ট থেকে কোরবানির কেনা-বেচা শুরু হবে। তার আগে হাটে পশু আনা এবং কেনাবেচা করার কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুই সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৪টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টিসহ রাজধানীতে মোট ২৩টি কোরবানির অস্থায়ী হাট বসবে। হাট প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে গত ৫ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিন। আর হাটে কোরবানির পশু আসা ও বেচাকেনার জন্য ৮ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চারদিন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৮ আগস্টের আগে পশুবাহী কোনো ট্রাক রাজধানীতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে পশু আনার কোনো সুযোগ নেই। তবে আগেভাগে হাটে পশু আসার কোনো অভিযোগও পাননি উল্লেখ করে তারা জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রকোপ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রয়োগ, আমদানি নিয়ে ব্যস্ত দুই সিটির কর্মকর্তারা। যে কারণে এ বছর কোরবানির পশুর হাটের উপর নজরদারি কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।