পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাট প্রস্তুত। বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। এবার হাটে পশুর চাহিদা ও যোগান সমানে সমান হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জেলায় ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭টি কোরবানি পশুর চাহিদার বিপরীতে ৬ লাখ ১০ হাজার পশু মজুদ থাকার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। গতবছর কোরবানির পশুর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৫টি।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে নগরীর পশুর হাটগুলোতে। গত দুই সপ্তাহে কুষ্টিয়া, বৃহত্তর ঢাকা, কুমিল্লা, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় আড়াই লাখ কোরবানির পশু এসেছে। আরও কোরবানির পশু আসার পথে রয়েছে। মিয়ানমার থেকেও কোরবানির পশু আসছে।
দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক। তিনি ইনকিলাবকে জানান, এবার ঈদুল আজহায় ঘাটতির পরিবর্তে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাহিদার সাথে যোগান সমান থাকবে। এবারের কোরবানির হাটে পশুর দাম স্থিতিশীল তথা কোরবানিদাতা বা ক্রেতার ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে জানিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, খামারি-গৃহস্থ তথা কৃষককে পশু উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কমমূল্যে খাবারের ব্যবস্থা, ঘাস চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ প্রদান এবং ভর্তুকি মূল্যে টিকা দেয়া হয়েছে।
কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের তীক্ষè নজরদারি রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় গরু মোটাতাজা করে থাকেন। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এরকম সংবাদ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নগরীর পশুর হাটগুলোতে ৭১টি পশু চিকিৎসক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গরু বেপারীরা জানান, নগরীর পশুর হাটে খুঁটি ভাড়া ও যাত্রাপথে চাঁদা দেয়া থেকে শুরু করে গরু উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এ বছর গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। ভারত, মিয়ানমার ও নেপাল থেকে গরু এলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। ক্রেতারা এখনো বাজার দেখছেন। কেউ পছন্দমত গরু পেলে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বেপারীরা দ্বিগুণের বেশি দাম হাঁকছেন। দেশী গরুর প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা সবসময় বেশি। যেহেতু এখনো ভারত, মিয়ানমার ও বিভিন্ন দেশের গরু আসেনি তাই ক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। এদিকে ক্রেতারা দাম কমার অপেক্ষায় বসে থাকায় পশুর হাটে তেমন বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে নগরীর পশুর হাটে কোরবানির পশু আসছে। তবে শেষ মুহূর্তে গরুর দাম কমে যাবে বলে ক্রেতাদের ধারণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।