Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরমের তেজ অসহনীয়

সাগরে মৌসুমী নিম্নচাপ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ-সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এদিকে শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে এসে ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, সিলেটসহ দেশের অনেক এলাকায় ভ্যাপসা গরমের তেজ গতকাল আরো অসহনীয় হয়ে ওঠে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড দিনাজপুরে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫.৩ এবং সর্বনিম্ন ২৯.১ ডিগ্রি সে.। ভরা বর্ষা মৌসুমের বর্তমান সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে পারদ ঊর্ধ্বে রয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি যদি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে যায় তাহলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এখন বর্ষার মৌসুমী বায়ু জোরালো। তবে বাংলাদেশের ওপর তা ‘মোটামুটি’ সক্রিয় বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত কুমিল্লায় ৪৬ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় মাত্র ২ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয় তাও বিক্ষিপ্ত। বৃষ্টির ফলে উপকূলীয় এলাকায় তাপদাহ কমেছে।

আজ (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্থানভেদে এক থেকে ৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরের ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, উত্তর বঙ্গোপপসাগর এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়। এটি গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫০ কি.মি. পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৮০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩০৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সেই সাথে গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মৌসুমী নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার কাছাকাছি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ