পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গরু-মহিষের হাড়, নাড়িভুঁড়ি ও শিং রফতানিতে প্রণোদনা হিসেবে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে রফতানিকারক। অর্থাৎ কেউ ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলে সরকার তাকে দেবে ১০ টাকা। তার প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়াবে ১১০ টাকা। এছাড়া রফতানি প্রণোদনায় নতুন করে যুক্ত হলো ১৩টি পণ্য। এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো এককালীন ১ হাজার ৫০০ ডলারের রেমিট্যান্সের ওপর কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এর বেশি হলেই পাঠানো রেমিট্যান্স নিরীক্ষার আওতায় আনা হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে রফতানির বিপরীতে সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তার বিদ্যমান হারসমূহ পুনঃনির্ধারণ ও নতুন নতুন খাতে নগদ সহায়তা প্রদান বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রফতানি খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। আজকের সভাটি ছিল বাৎসরিক সভা। আমরা নতুন কিছু খাতে নগদ সহায়তা বাড়িয়েছি। যাচাই-বাছাই করে বেশ কয়েকটি পণ্যে প্রণোদনা বাড়িয়েছি। এর মধ্যে গার্মেন্টস খাতে ইউরোপ আমেরিকায় পণ্য রফতানিতে এক শতাংশ প্রণোদনা, মেডিকেল সার্জিক্যাল যন্ত্রাংশে ১০ শতাংশ, গরু-মহিষের হাড়, নাড়িভুঁড়ি ও শিং রফতানিতে, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও আইটিইএস পণ্য, শস্য, শাক সবজি, পেট বোওলে, সুপারি পাতার তৈরি পণ্য, ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি পণ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া ‘সি’ ক্যাটাগরির সিনথেটিক পণ্য, ইপিজেডের এগ্রো প্রসেসিং পণ্যে ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা প্রসঙ্গে অর্থ সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর এখন থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি নিয়ম অনুসরণ করে সকলকে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে। সেটা হলো- এককালীন ১ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠালেই তাদেরকে নিরীক্ষার আওতায় আসতে হবে। এ বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হলো। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, রাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যই রফতানিতে প্রণোদনা বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রতি বছর আমাদের ২ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আমরা কাস্টমস ট্যাক্স কম পাচ্ছি তার মানে আমাদের গার্মেন্টস যন্ত্রাংশ ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে। এতে করে দেশে নতুন শিল্প কারখানা হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন করাই মূল লক্ষ্য। আমাদের এখন যারা বেকার তারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। এজন্য আমাদের ট্যাকনিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।