পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ডেঙ্গুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই একটি রাজনৈতিক অপশক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ মাসে আমরা ডেঙ্গু আর এডিস মশা নিয়ে ব্যস্ত আছি। কিন্তু এই এডিস মশাদের চেয়েও বিপজ্জনক হচ্ছে অন্ধকারের এক অপশক্তি, কালো শক্তি। এ মাসে ডেঙ্গুর আড়ালে এদের অশুভ তৎপরতা বেড়েছে। ওইসব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে সচেতন থাকতে হবে। সম্মিলিতভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডেঙ্গু নিধন অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন না ভয়ঙ্কর এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে না আসবে, যতদিন পর্যন্ত আমরা প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে মানুষকে রক্ষা করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে প্রতিটি ঘরের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গুমুক্ত ও এডিস মশা নিধনে দুই সিটি করপোরশনের মেয়র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা যা বলবেন, একত্রে বসে সমন্বিতভাবে ঠিক করে নেবেন। কী বক্তব্য, কোনদিন কী হচ্ছে, এটা আপনারা জনগণকে জানাবেন। এমন কোনো বিষয়ে একেকজন একেক রকম বলবেন না, যাতে করে আজকে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
একটা মহল ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যাতে ঈদের সময় মানুষ বাড়িঘরে না যায়। এজন্য তারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মানুষ কেন বাড়িঘরে যাবে না! সবার ইচ্ছা আছে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ উৎযাপন করার। সবাই যাবেন তবে সতর্ক থাকবেন। কারো জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করে বাড়ি যাবেন, তা না হলে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।