পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যিলহজ মাসের আমলগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে হজ পালন। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এ হজ ফরজ ঘোষণা করে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহর জন্য মানুষের ওপর সেই ঘরের হজ করা কর্তব্য যে সেখানে যাবার সামর্থ্য রাখে। (আলে ইমরান : আয়াত ৯৭) অর্থাৎ আল্লাহর ঘর কাবা পর্যন্ত যাতায়াতের খরচ, শারীরিক সামর্থ্য এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত আছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর হজ পালন করা ফরজ। আল্লাহ তা’আলা ষষ্ঠ হিজরিতে হজ ফরজ করে চ‚ড়ান্ত নির্দেশ দেন। ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ ও ওমরা সম্পূর্ণরূপে আদায় কর। -সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ১৯৬।
বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা (রা.) হজের ফজিলত সম্পর্কে বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করল এবং এ সময়ের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ ও কোনোরূপ গর্হিত কাজ করল না, সে এমন নিষ্পাপ হয়ে গেল যেন আজই তার মা তাকে ভ‚মিষ্ঠ করেছেন’। সহীহুল বুখারী।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা রা. বলেছেন, আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’।
হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ কোনো বিষয়ের বা কাজের ইচ্ছা বা দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা এবং কোনো মহৎ বিরাট কাজের বারবার সংকল্প ও ইচ্ছা গ্রহণ করা। আল্লামা আজহারী বলেছেন, ‘হজ অর্থ কোনো স্থানে একবারের পর দ্বিতীয়বার আসা। এ কারণেই মক্কা গমনকে আল্লাহর ঘরের হজ বলা হয়। কেননা, জনগণ প্রত্যেক বছর আল্লাহর ঘর জিয়ারতের জন্য আসে’।
পরিভাষিক অর্থে হজ বলা হয়, আল্লাহর ঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কতকগুলো বিশেষ ও নির্দিষ্ট কাজ সহকারে মর্যাদাপূর্ণ ঘরের জিয়ারতের সংকল্প করা। এ প্রসঙ্গে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ.) বলেন, সম্মান ও মহত্ব প্রকাশের উদ্দেশে কাবা ঘরের জিয়ারতের সংকল্প করাই হলো হজ। আল্লামা কিরমানী বলেছেন, কাবাঘরের অনুষ্ঠানাদি পালন ও আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের উদ্দেশ্যে সেখানে যাওয়াই হলো হজ।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন, ‘হজ আদায়কালে স্ত্রী সম্ভোগ, ফাসেকি ও গোনাহের কাজ এবং ঝগড়া বিবাদের কোনোই অবকাশ নেই। -সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ১৯৭। সব নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে যারা হজ সম্পন্ন করতে পারবে, তারা সদ্যজাত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।