Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০০ আসনে ছয় শতাধিক মনোনয়ন দিয়ে বিএনপির এই ভরাডুবি: প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম

ব্রিটেনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক দেরিতে হলেও বিএনপি বুঝতে পেরেছে। তাই তাদের ৫ জন সংসদ সদস্য সংসদে যোগ দিয়েছেন। ৩০০ আসনে ৬০০'র ওপরে প্রার্থীকে তারা মনোনয়ন দিয়েছিল। তাই নির্বাচনে এমন ভরাডুবি হয়েছে তাদের। একটি দল হিসাবে যা যা প্রাপ্য, সংসদে বিএনপিকে দিয়েছি আমরা। গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে তাদের সদস্যদের স্থান দিয়েছি।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ শরীফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান (অব. কর্নেল) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৩৯ বছর আগে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়েই আমি দেশে ফিরেছিলাম। জাতির জনকের হত্যার বিচারের দাবিতে ৩৯ বছর আগে ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ইয়র্ক হলে আমি প্রথম বক্তব্য রেখেছিলাম। যদিও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। জাতির জনকের হত্যার প্রতিবাদে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত রাজ্জাক সাহেব পদত্যাগ করেছিলেন। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেম। সেই সম্মেলনে '৭৭ সালে লন্ডন থেকে শেখ রেহানা যোগ দিয়েছিলেন।

১৯৮০ সালে লন্ডনে আসি আমি। ইয়র্ক হলে '৮০ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি ভাবিনি সেদিন এই দায়িত্ব নিতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রবাসী নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিন। প্রবাসীরা সেদিন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই প্রেরণা পেয়েছিলেন। সাহস পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে লন্ডনে বসে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সংবাদ পাই। যে মাটিতে শুধু কবর আর কবর, আমি মৃত্যুকে হাতে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হবে না। স্বজন হারানোর কষ্ট নিয়ে ফিরেছিলাম, কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।

আমার পাওয়ার কিছু নেই। হারাবারও কিছু নেই। শুধু বাবার আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে যাব। '৯৬ সালে যখন ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন আমি প্রতিশোধ নিচ্ছি। বিএনপি সেদিন খুনীদের রক্ষা করতে হরতাল ডেকেছিল। বিচারপতির পরিবারের ওপর হামলা হয়েছিল। একজন সাধারণ মানুষের হত্যার বিচার যেভাবে হয়, জাতির জনক হত্যার বিচারও সেভাবেই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকারীরা কল্পনাও করেনি আওয়ামী লীগ কোনদিন ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দেশের মানুষের ভালবাসায় আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশে ১০০টি ইকোনমি জোনে বিনোয়োগ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রস্তুতে অবদান রাখতে প্রবাসীদের আহ্বান জানান তিনি। বিগত নির্বাচনে বাংলাদেশের সব ব্যবস্যায়ীরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিল। কারণ দেশে এখন হাওয়া ভবন নাই। তারা সৎভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু প্রসাশন নয় আমাদের নেতাকর্মীদের মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে নানা গুজব সম্পর্কে বলেন, যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে দেশের জন্য কাজ করে যাবো।

আমার চোখের অপারেশন ঢাকায় কেউ করতে চায়নি। তাই লন্ডনে আসতে হয়েছে। আগের বার চিকিৎসা করে খুব তাড়াহুড়ো করে ফিরে গিয়েছিলাম। তাই বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ৫ তারিখে আবার ডাক্তার প্রধানমন্ত্রীর চোখ পুনঃপরীক্ষা করবে বলে জানান। ৭ আগস্ট দেশে ফিরবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সফর ও নিজের চোখের চিকিৎসা শেষে ৭ তারিখ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে ৮ তারিখে (বৃহস্পতিবার) দেশে পৌঁছাবেন বলে আমরা জেনেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ