পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার খামারীরা এবার ভুগছেন ভারতীয় গরু আতঙ্কে। তাদের আশঙ্কা শেষ মুহুর্তে যদি চোরাপথে ভারতীয় গরু ঢুঁকে পড়ে তাহলে তাদের লাভ করাতো পরের কথা পুঁিজ হারিয়ে পথে বসতে হবে।
বগুড়ার ২৭ হাজার বড়, মাঝারী ও ক্ষুদ্র পশু খামারীদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে খামারী শামসুল আবেদীন সবুর জানিয়েছেন, গত কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরু চোরাপথে না আসায় দেশীয়ভাবে গোশত ও দুধের চাহিদা মেটাতে গরু , ছাগর ও ভেড়া পালনে আগ্রহ বেড়েছে। কেবল বগুড়া জেলাতেই খামারের সংখ্যা এখন ২৭ হাজার।
প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় কোরবানীর পশু চাহিদা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০টি হলেও এবার কোরবানী যোগ্য গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ লাখ।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, চাহিদার তুলনায় ৬০ হাজার বেশী কোরবানীর পশু প্রস্তুত হওয়ায় এবার জেলার বাইরের পাইকাররাও গবাদী পশু কিনতে বগুড়ায় ভিড় করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বগুড়ায় এবার ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২টি গরু, ২ হাজার ৪৮টি মহিষ, দেড় লক্ষাধিক ছাগল, সাড়ে ২৬ হাজার ভেড়াসহ মোট গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৮টি। এ জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। বগুড়ার ৮০ টি কোরবানীর হাট থেকে ইতোমধ্যেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেটের পাইকাররা কোরবানীর পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যেই স্থানীয়ভাবে ক্রেতার বিক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন গরু ব্যাপারীরা।
তবে সবার আশঙ্কা যদি শেষ মুহুর্তে অসুস্থ, বয়ষ্ক ও চাষাবাদের কাজে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়া ভারতীয় গরু চোরাপথে আসতে শুরু তাহলে স্থানীয়ভাবে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা গবাদী পশুর চাহিদা কমে গিয়ে দর পড়ে যাবে । ফলে বিপাকে পড়বে পশু খামারীরা।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশে গরু পাচার প্রতিরোধে সারা বছর সজাগ থাকলেও কোরবানীর সময়ে এসে যেসব গবাদী বয়স ও অসুস্থ্যতার কারণে দুধ দিতে পারে না সেই সাথে চাষাবাদের কাজে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে ওই সব গবাদী পশু বাংলাদেশে পুশইন করার সময় চোখ বন্ধ করে থাকে। ফলে কোরবানীর হাটের প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় গবাদী পশু ঢুঁকে পড়ে। এতে প্রভ‚ত ক্ষতির শিকার হয় দেশীয় খামারী ও পশু পালনকারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।