পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিন থেকে দুর্দশায় থাকা বেসিক ব্যাংকের সম্মাননা গ্রহণ করলেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মতিঝিল বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় পপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ সম্মাননা ক্রেস্ট না নেওয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে সম্মান সূচক ক্রেস্ট দিতে চাইলে তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এখন ক্রেস্ট নিবো না। এক বছরে যদি তারা ভালো করতে পারে তাহলে ক্রেস্ট নিবো। আপনারা ভালো করেন আগামীতে আপনাদের সঙ্গে আমরা পিকনিক করবো। এ সময় অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকা অন্যান্য অতিথিরাও ক্রেস্ট গ্রহণের অস্বীকৃতি জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মাজিদ। ব্যাংকের সার্বিক অার্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক। বেসিক ব্যাংককে আল্টিমেটাম দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর যেসব শাখা লোকসান দিয়েছে। এ বছরও যদি তারা লোকসান দেয়, তাহলে ওইসব শাখা বন্ধ হরে দেওয়া হবে। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রায় ৩৬টি শাখা লোকসানে আছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যারা বেনামে ঋণ নিয়েছে টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য; তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের পেছনে আমরা এজেন্সির লোক নিয়োগ দিবো। দেশ বিদেশে যেখানেই থাকুক তাদের বের করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঋণ আদায় সহজ করে দিবো কিন্তু ঋণ মাফ করতে পারবো না। বেসিক ব্যাংকে স্পেশাল অডিট করা হবে।
অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কম হলেও শাস্তি দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় নাজুক অবস্থায় পড়া শতভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। এ সময় লোকসানে থাকা ব্যাংকটি লাভজনক অবস্থায় না আসলে বিভিন্ন শাস্তির পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের হুমকি দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।