Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘দেশে উৎপাদিত দুধে ক্ষতিকর কিছু নেই’

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের উৎপাদিত দুধ অবশেষে ভারতের চেন্নাই থেকে পরীক্ষা করে আনা হয়েছে। কিন্তু দুধে তেমন ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। দুটি কোম্পানীর দুধে যে স্টেপটোমাইসিন পাওয়া যায় তা মানবদেহের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে। চেন্নাইয়ের ওই গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানের ধরা হয়। স¤প্রতি পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধ উৎপাদন করা ১৪ কোম্পানির পণ্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ভারী ধাতু ও সালফার ড্রাগ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওইসব কোম্পানির দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিট। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম জানান, মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণ কোম্পানির পণ্যের ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বলা হয় পরীক্ষায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু, লেড বা ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়নি। তবে মিল্ক ভিটার পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মিলেছে দেশের পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু, লেড বা ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়নি। মিল্ক ভিটার পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মিলেছে স্টেপটোমাইসিন, ও প্রাণ ডেইরির দুধে ক্লোরাফেনিকল ব্যাকটেরিয়া। যে মাত্রায় এই দুটি কোম্পানির দুধে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে সেটাও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে উঠে এসেছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

পরীক্ষার ফল তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারতের চেন্নাই থেকে করা পরীক্ষায় মিল্ক ভিটার প্রতি কেজি দুধে স্টেপটোমাইসিন ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে, যা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার মধ্যেই রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অন্যদিকে, প্রাণ ডেইরির দুধে ক্লোরাফেনিকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে প্রতি কেজিতে ০.০৬ মাইক্রোগ্রাম। এই মাত্রাও মানবদেহে জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো ক্ষতিকর ধাতু, অ্যান্টিবায়োটিক বা সালফার জাতীয় কোনো রাসায়নিকের অস্থিত পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাহলে কী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরীক্ষা করেছে তা ভুল? জবাবে ডা. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, তাদের গবেষণার তথ্যে গড়মিল রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরীক্ষায় ক্ষতিকর কোনো পদার্থ পাওয়া যায়নি, এসব দুধ নিরাপদ। এমনকি আইসিডিডিআরবি’র পরীক্ষাতেও এমন কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে দেশে বড় ধরনের কোনো ল্যাবরেটরি না থাকাকে সীমাবদ্ধতা হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারনে অনেকেই দায়সারা ভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে, এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। জনগণের বিভ্রান্তি দূর করতেই সরকার দুধ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। #



 

Show all comments
  • Yourchoice51 ১ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৩২ এএম says : 0
    Not surprised...I knew that this going to happen. Bangladeshi milk is good. Have a party now!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ