পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের শাটার খোলার জন্য প্রথমে একজন নেমেছিলেন। তার সাড়া না পেয়ে নেমে পড়েন আরেকজন এভাবে একে একে ছয়জন সেপটিক ট্যাংকে নেমে মারা পড়লেন। গতকাল বুধবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পলাশবাড়ী গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জাফরপুর পলাশবাড়ী গ্রামের নিখিল চন্দ্রের বাড়িতে মিস্ত্রিগণ গত কয়েকদিন আগে টয়লেটের সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করে ট্যাংকের মুখ বন্ধ করে চলে যান। পরে বুধবার সকালে সেপটিক ট্যাংকের ছাঁদ ঢালাইের শাটার খুলতে প্রথমে একজন নিচে নামেন অনেকটা সময় পেরোলেও সে না উঠায় অপর একজন নামেন। তিনি ট্যাংকের ভেতরে তার সহকারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তবে তিনি তার সহকারীকে উদ্ধার করতে পারেননি। তাকে উদ্ধার করতে নেমে তৃতীয় ব্যক্তিও ট্যাংকি থেকে উঠে আসতে পারেনি। এরপর আরও চারজন নামেন। এর মধ্যে মাত্র একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ছয়জন ট্যাংকের ভেতর মারা যান।
নিহতরা হলেন, জাফরপুর পলাশবাড়ী গ্রামের বাড়িওয়ালা নিখিল চন্দ্রের ছেলে প্রিতম (১৯), মৃত গোবিন্দ চন্দ্রের ছেলে গণেশ (৪৫), রেজাউল করিমের ছেলে সজল (২০), সাথী হোসেনের ছেলে শিহাব (১৮), গণিপুর গ্রামের ছামছুল আকন্দের ছেলে শাহিন (৩০) এবং বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা খলিশ্বর গ্রামের টিটু মন্ডলের ছেলে মুকুল (২৫)। গুরুতর অসুস্থ দিলীপ চন্দ্র মহন্ত (৫৫) নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিরন কুমার রায় বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ৬ জন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। তবে নিহতরা ট্যাংকিতে নেমে সাথেই সাথেই মৃত্যুবরণ করার ফলে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।