Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টি বাড়তে পারে আসছে সপ্তাহে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বৃষ্টিপাত হচ্ছে অনেক জেলায়। তবে তা সাময়িক, হালকা ও হঠাৎ বৃষ্টি। যখন যেখানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে তাপমাত্রার পারদ নিচের দিকে নামছে। আর বৃষ্টিপাত নেই যেখানে সেদিন ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। ভরা মেঘ-বাদলের শ্রাবণের ‘স্বাভাবিক’ মুষলধারে বর্ষণ এখনও নেই কোথাও। তবে আসছে সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি-বাদলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এমনটি পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল রাজশাহীতে ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় সর্বাপেক্ষা বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রাম বিভাগে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত স›দ্বীপে ৬৫ মিলিমিটার। সেখানে ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রি সে.।

ঢাকায় গতকাল সারাদিনে মাত্র ৭ মি.মি. বৃষ্টি ঝরেছে। তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩২ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৩ ডিগ্রি সে.। রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হালকা, সাময়িক বা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও হচ্ছে মাঝারি ধরনের বর্ষণ। তাও সাময়িক।

আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় সাময়িক দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ক্রমে বেড়ে যেতে পারে। বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর তেমন বেশি সক্রিয় নয়।
উজানেও নেই অতিবৃষ্টি
গতকাল সন্ধ্যায় ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানায়, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব ভারতের বিশেষ করে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ কোথাও কোথাও অতিবৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃষ্টি-প্রধান আসামের চেরাপুঞ্জিতে ১৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই আইএমডি’র পূর্বাভাসে জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের উজানের অববাহিকার বিশাল অংশই উত্তর-পূর্ব ভারতের উপরোক্ত প্রদেশসমূহ। সেখানে আপাতত বর্ষণ থেমে থাকার ফলে এ মুহূর্তে দেশের নদীসমূহে পাহাড়ি ঢল-বানের আশঙ্কা নেই।

এদিকে গতকাল দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানির সমতল আরও হ্রাস পেয়েছে। পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গঙ্গা নদী ছাড়া প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। আর গঙ্গার পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।

উত্তর, মধ্যাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সুরমা, কুশিয়ারা ও তিতাস নদীর পানি বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। নদ-নদীর পানির ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি পয়েন্টে পানি হ্রাস এবং ২২ স্থানে পানি বৃদ্ধির দিকে ছিল। এ অবস্থায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া বন্যা পরিস্থিতি কেটে যাচ্ছে। তবে বন্যার্ত লাখ লাখ মানুষের কষ্ট-দুর্ভোগ এখনও সীমাহীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ