পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমিরাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের আদালতে স্ত্রী হায়ার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী নেতা ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ আল মাখতুমের। আর এ আদালতেই শুরু হয় সন্তানদের নিয়ে আইনি লড়াই। দুবাই শাসকের কনিষ্ঠ স্ত্রী হায়া বিনতে আল হুসেন সন্তানদের নিয়ে দুবাই ছেড়েছিলেন। তিনি লন্ডনে পালিয়ে থাকার সময়ে চলতি মাসে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দুবাইয়ের রাজপরিবারের অধীন থেকে মুক্ত হতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পালিয়ে আসা তৃতীয় নারী সদস্য তিনি।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সৎ বোন শেখ হায়া দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৪৫ বছর বয়সী এই রাজকন্যা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে ছিলেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন শেখ হায়া। তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে, শৈশব থেকে খেলাধুলা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। বিভিন্ন মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও রয়াল উইন্ডসর হোরস সো’র সহ-সভাপতি তিনি। এমিরেটস উমেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হায়া বলেন, আমি সাংবাদিক হতে চেয়েছিলাম। দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রতি আমার আলাদা অনুরাগ আছে।
তার মেয়ে শেখ আল-জলিলা ও ছেলে শেখ জায়েদকে নিয়ে সব সময় উচ্ছ¡সিত তিনি। আমিরাত থেকে পালিয়ে আসার সময় সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, হায়া বিনতে হুসেন লন্ডনের বাসিন্দা হতে ইচ্ছুক। তবে যদি তার স্বামী তাকে দুবাই ফিরিয়ে নিতে চান তাহলে যুক্তরাজ্যের জন্য তা ক‚টনৈতিক মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। হায়া বিনতে হুসেন পালিয়ে যাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে কবিতা পোস্ট করে তাকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন দুবাইর শাসক। পরে এই মাসে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জীবন শঙ্কার কারণে লন্ডনে পালিয়ে আছেন তিনি।
এই শঙ্কার নেপথ্যে শাসক পরিবারের গোপন কিছু বিষয় জেনে যাওয়ার ভ‚মিকা রয়েছে বলে জানায় ওই সূত্রটি। শেখ মাখতুমের মেয়ে শেখ লতিফার পালিয়ে যাওয়ার পর রহস্যজনকভাবে দুবাইয়ে ফেরত আসায় তার ভূমিকা রয়েছে জানায় ওই সূত্রটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।