পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাসের উৎপাদন বাড়ায় শিল্প, সার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সর্বসাধারণের সুবিধার্তে সব সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফুয়েলিং কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। নতুন শিল্পে সংযোগ ও লোড বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয় আন্তরিক। এটি শুধু ঈদকে কেন্দ্র করে না, স্থায়ীভাবেই করা সম্ভব হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি সচিব বলেন, আমাদের ২৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস রয়েছে। নতুন করে আরও ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস যোগ হওয়ায় ৩৭৫ ঘনফুট হলো। এতে আমাদের গ্যাসে সক্ষমতা বেড়েছে। একারণে নতুন গ্যাস সংযোগ দিয়ে পুরনো লাইনের লোড বাড়ানো যাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আমরা নীতিগতভাবে অগ্রাধিকার দেবো। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছি।
সচিব বলেন, আমরা শিল্প-কারখানা, সার কারখানা, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস দিতে চাই। আবাসিকে এ মুহূর্তে বন্ধ আছে। সিএনজিতেও বন্ধ রাখতে চাই। যেখানে বিকল্প জ্বালানির সংস্থান আছে, সেখানে ডলার খরচ করে গ্যাস দিতে চাচ্ছি না। হিসাব-নিকাশ করে দিতে হবে। এতে যদি আমাদের জ্বালানি চাহিদা আরও বাড়তে থাকে, তাহলে দেখা যাবে, প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। ফলে গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। এজন্যই আমরা একটু বাছাই করে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি। সচিব বলেন, শিল্পে আমরা ঢালাও ভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি। নতুন ও পুরনো লোড বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। আমাদের মূল কথা হলো, শিল্পে সংযোগ দেবো, এর জন্য আর কারও দ্বারস্থ হতে হবে না। সঠিক নিয়মে আবেদন করলেই গ্যাস সংযোগ পাওয়া যাবে।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, সিএনজিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সিএনজির বিকল্প এলপিজি আছে। আমার ধারণা, সিএনজি ব্যবসা আর বেশি দিন চলবে না। কারণ, এলপিজি ও অটোগ্যাস এর স্থান দখল করে নিচ্ছে। তাছাড়া, অটোগ্যাস ইঞ্জিনবান্ধব। সিএনজি ইঞ্জিন বান্ধব নয়। এধরনের কোনো ইঞ্জিন তৈরি হয় না। সিএনজি ফিলিং করতে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এতে ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু অটোগ্যাসে শক্তি কম প্রয়োগ করতে হয়। তাই, এর ঝুঁকিও কম।
সচিব বলেন, ভোক্তারা সিএনজি থেকে অটোগ্যাসে চলে আসছে। আমার ধারণা, ভোক্তারা অটোগ্যাসে বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করেন। তাই, নতুন যারা সিএনজি স্টেশন দেবে, তারা লাভবান হবে না। এজন্য, তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যদি গ্যাস দিতে হয়, তাহলে সেটা সুখকর নয়। বিদ্যুৎ বিভাগ এখন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি।
গ্যাসের অপচয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আবাসিক গ্যাসে যে অপচয় হয়, তা আমরা রাতারাতি বন্ধ করতে পারবো না। আমাদের ৪২ লাখ গ্রাহক রয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রায় তিন লাখ ডিজিটাল মিটার দিতে পেরেছি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারি। যাতে, গ্রাহকরা বাজার থেকে মিটার কিনে নিতে পারেন। এতে, কিছুটা হলেও গ্যাস অপচয় রোধ হবে।
এরআগে ঈদের আগে সাত দিন ও পরের তিন দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে অনুরোধ করেছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।