Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদরাসা-স্কুল-কলেজে ভুলে ভরা ইংরেজি গ্রামার বই

প্রকাশনা বন্ধে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মাদরাসা ও স্কুলের চতুর্থ শ্রেণী থেকে কলেজের স্নাতক পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড ( এনসিটিবি) অনুমোদিত ইংরেজি গ্রামার বই প্রকাশ ও মুদ্রণ বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল নিশি জারি করেনে হাইকোর্ট। অ্যাভোকেট মো. মোজাম্মেল হকের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বিবাদীদেরকে আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
রিটে বলা হয়, মাদরাসা ও স্কুলের চতুর্থ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্যন্ত চৌধুরি অ্যান্ড হোসাইন, বাবুল চন্দ্র শীল, প্রফেসর এফ এম আব্দুল রব, সায়মা প্রসাদ ঘোষ, ফিরোজ মুকুল, সাইফুর রহমান খানের লেখা ইংরেজি গ্রামার বই পড়ানো হচ্ছে। যাতে অধিকাংশই ভুলে ভরা। কোনোটির ব্যাকরণ, কোনোটির বানান। এসব গ্রামার বইয়ের প্রত্যেকটিতেই ‘নাউন কে প্রোনাউন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। গত ১২ বছর ধরে বিভিন্ন স্তুরের শিক্ষার্থীদের এভাবে ভুল ইংরেজি শেখানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীর ইংরেজির ভিত দুর্বল হয়ে গড়ে উঠছে। ইংরেজি মাতৃভাষা না হলেও আন্তর্জাতিক ভাষা। ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তারা কিন্তু ব্যাকরণগত কোনো পরিবর্তন, পরিমর্জন আনেনি। আমাদের দেশে ইংরেজি গ্রামারের লেখকরা ভুলভাবে নানা পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন এনেছে। ইংরেজি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজভাবে শেখার সহজ পদ্ধতি ভুলভাবে প্রবর্তন করা হয়েছে। রিটে বলা হয়, ১২৫টিরও বেশি শব্দ আছে যেগুলো নিয়মের সাথে যাচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ইংরেজিতে ‘ওপেন’র সঙ্গে ‘ইং’ যোগ করে আমরা লিখছি ‘ওপেনিং’। কিন্তু আমরা যদি ওই ফর্মুলায় লিখতে যাই তাহলে লিখতে হবে ‘ওপেননিং’। কিন্তু এ বানানটি তো ভুল। ঠিক এমনিভাবে ‘ডেভেলপ’, ‘ভিসিট’, ‘অ্যান্সার’, ‘সাফার’, ‘লিসেন’র মতো ১২৫টির বেশি শব্দ ভুল লিখতে হবে।
এছাড়াও ‘ভার্ব’র সঙ্গে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার বোঝাতে ‘এস’ বা ‘ইএস’ বা ‘আইইএস’ কিভাবে যোগ করতে হবে, তা বলা হয়নি। এ রকম অসংখ্য অসঙ্গতি, ভুল রয়েছে এসব বইয়ে।
রিটের শুনানি শেষে আদালত এসব অশুদ্ধ বই কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং এসব লেখকের ইংরেজি গ্রামার বইয়ের প্রকাশনা, বিপণন বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল নিশি জারি করেন। শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক, পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও শিক্ষক চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন লেখকের ইংরেজি গ্রামারের ভুল অধ্যায়গুলো সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট তানভীর আহমেদ। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ