পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যার পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্য, মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের বিপদসীমার উপর-নিচের অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে পানি কমছে। সেই সাথে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে।
প্রধান নদ-নদীসমূহের উজানের অববাহিকায় উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং এর সংলগ্ন বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত প্রায় এক সপ্তাহ তেমন বৃষ্টিপাত নেই। যা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সহায়ক হয়েছে। অন্যদিকে বন্যা কবলিত দেশের ২৮টি জেলায় খাদ্য, বসতঘর বা আশ্রয়স্থল, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সাহায্যের অভাবে বন্যার্তদের কষ্ট-দুর্ভোগের শেষ নেই।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৭টি নদ-নদী ১০টি স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবকটি স্থানেই বিপদসীমার ওপর থেকে পানি হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার ৯টি নদ-নদী ১৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর প্রবাহিত হয়। শনিবার ১১ নদ-নদী ১৮ পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে ছিল।
দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ২৩ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৬৫টিতে হ্রাস পেয়েছে। ৫টি স্থানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত রোববার ৩০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৩টিতে হ্রাস পায়। নদ-নদী প্রবাহের পূর্বাভাসে জানা যায়, গঙ্গা নদী ছাড়া দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গঙ্গা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রধান নদনদীগুলোর বিপদসীমায় সর্বশেষ অবস্থানে জানা গেছে, অবশেষে গতকাল উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। যমুনা নদের পানি দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে (বাহাদুরাবাদ ও ফুলছড়ি পয়েন্টে) থাকলেও পানি আরো হ্রাস পেয়েছে। ৫ ও ১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী, আত্রাই ও গুর নদীর পানি কমেছে। এখন বিপদসীমার ৮ থেকে ২২ সে.মি. ঊর্ধ্বে রয়েছে। ঢাকার চারপাশে নদ-নদীগুলোর পানিও হ্রাসের দিকে।
গঙ্গা নদীর পানি প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। পদ্মা নদীর ভাটিতে গোয়ালন্দ ও সুরেশ্বরে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে। সুরমায় একটি স্থানে ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে পানির প্রবাহ বিপদসীমার ওপর রয়েছে। তবে হ্রাস পাচ্ছে। তিতাস নদীর পানি বি.বাড়ীয়ায় আরও সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২০ সে.মি. ঊর্ধ্বে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।