পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় হলেও তাদের মধ্যে আস্থা সঙ্কটের কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মিয়ানমারের হাতে নতুন করে আরও ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তুলে দেয়ার কথা জানান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান। তিনি বলেন, জোর করে কোন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত ইস্যুতে এর আগে দুই দেশের মধ্যে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ‘প্রত্যাবাসন চুক্তি’ হওয়ার পর দুই দফায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৮ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাইয়ের কাজ মিয়ানমার শেষ করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়নি। নতুন তালিকায় যে রোহিঙ্গাদের নাম এসেছে, তারা ৬ হাজার পরিবারের সদস্য।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ৩ দিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন। তারা দুই দিনই কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যস্ত সময় কাটান। রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার পর এই প্রথম সে দেশের কোনো কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। তারা দফায় দফায় বৈঠক করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সাথে। তাদের সঙ্গে ছিলেন ছিলেন আসিয়ানের প্রতিনিধিরাও।
গত বছরের নভেম্বরে প্রথম দফা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের অসম্মতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তারপর নানা কৌশলে কিছুটা পিছিয়ে যায় মিয়ানমার। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর আবারও তাদের নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে। তাই দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের বাইরে গিয়েই তারা আয়োজন করে বিশেষ এ বৈঠকের। যেখানে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আসিয়ানের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।
শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের পর মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, আমরা বিদেশীদের মর্যাদায় বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেব। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চায় নাগরিকতত্ব। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলও শরণার্থীদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান বলেন, ‘এটা ছিল মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের এ ধরনের প্রথম সফর; যেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। রোহিঙ্গাদের প্রথম দাবি মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব। তারপর তারা চলাফেরার স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের স্বাধীনতা এবং নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু মিয়ানমার সেটাতে এখনো সম্মত নয়। একটা মিটিংয়েই তো আর সবকিছু ঠিক করা সম্ভব না। আর আমরাও কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাবো না।’ আলোচনা চলতেই থাকবে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পে সব ধর্মের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এটাই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সুযোগ ফিরে যাওয়ার।’
আসিয়ানের প্রতিনিধি আরনেল কাপলি বলেন, আমরা মনে করি দু’পক্ষের মধ্যে আস্থার সমন্বয় ঘটানোটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’ ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।