পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠকের দুইদিন পরই পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিল পেন্টাগন। গত শুক্রবার প্রায় ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সাহায্য করার কথা নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা মার্কিন কংগ্রেসকেও জানিয়েছে। অপারেশন বালাকোটে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল, মার্কিন এমন পদক্ষেপের ফলে ভারতের মধ্যে নতুন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকেই পাকিস্তানকে নিরাপত্তা খাতে সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে বলে জানায় পেন্টাগন। তবে, তার মধ্যেই নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে এফ-১৬ বিমানগুলিকে প্রযুক্তিগত ভাবে দেখভাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এ ক্ষেত্রে অন্তত ৬০টি সংস্থাকে ওই যুদ্ধবিমানগুলো দেখভালের জন্য দায়িত্ব দেয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু, প্রেসিডেন্টের কথামতো দু’দেশের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই আমরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সাহায্য করব। এই প্রস্তাবিত চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় সুরক্ষা বজায় থাকবে। মার্কিন প্রযুক্তিও সুরক্ষিত হবে।’
এফ-১৬ বিমানের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সাহায্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। মার্কিন সফরে ইমরানের খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। তারপরেই এ নিয়ে পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা কান্ডে পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ বিমান ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ। সামরিক আগ্রাসনে এফ-১৬ বিমানের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ইসলামাবাদ। বিশ্বের চিরবৈরি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এমন টানাপড়েন চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণাকে তাই অশনি সঙ্কেত দেখছেন ভারতের বিশ্বষজ্ঞরা। যদিও, পেন্টাগনের দাবি, এই চুক্তির ফলে উপমহাদেশে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হবে না।
একদিকে, পাকিস্তানকে এফ-১৬ বিমানে প্রযুক্তিগত সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প সরকার। একই সঙ্গে, সামরিক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত বিমান সি-১৭ নিয়ে ভারতকেও প্রযুক্তিগত সাহায্যের কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। পেন্টাগনের এক কর্র্মতার মতে, ‘বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারতের এই প্রযুক্তিগত সাহায্য প্রয়োজন।’ সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।