পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যা কবলিত অধিকাংশ এলাকা থেকে ধীরে ধীরে নামছে বানের পানি। সেই সঙ্গে সবখানে ভেসে উঠছে ঢল-বন্যার তোড়ে বসতঘর, সড়ক, রাস্তাঘাট, বাঁধ, রেললাইন, সেতু-কালভার্ট, ফল-ফসল, ক্ষেত-খামারসহ সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
আবার অনেক জায়গায় বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে বানের পানি আটকা পড়েছে। বন্যার্ত লাখ লাখ মানুষের খাদ্য, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসা নিয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অনিশ্চয়তা ও সঙ্কট। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধসহ অগণিত বন্যার্ত মানুষের কাছে পৌঁছেনি তেমন ত্রাণ সাহায্য। যাও মিলছে ছিটেফোঁটা ত্রাণ তাতে অনেকেই অনাহার অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১১টি নদ-নদী ১৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে ২টি স্থানে পানি কিছুটা বৃদ্ধির দিকে থাকলেও ১৬ পয়েন্টে পানি হ্রাসের দিকে। দেশের নদ-নদীসমূহের ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৩২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫৯টিতে হ্রাস পায়। গত শুক্রবার নদ-নদীর ১৯ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ঊর্ধ্বে এবং ৩৬ স্থানে পানি বৃদ্ধি, ৫৪ স্থানে হ্রাস পায়। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীর এলাকাসমূহে উল্লেখযোগ্য ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।
নদ-নদী প্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন অংশে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। যমুনা নদ ছাড়া দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীসমূহ ছাড়া অন্যান্য নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান নদ-নদীসমূহের বিপদসীমায় প্রবাহের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়, উত্তর জনপদের ধরলা নদীর পানি গতকাল বিকেল পর্যন্ত আরও হ্রাস পেয়ে কুড়িগ্রামে বিপদসীমার ১৪ সে.মি. ওপরে রয়েছে। ঘাগট নদীর পানি হ্রাস পেয়ে গাইবান্ধায় বিপদসীমার ১৬ সে.মি ঊর্ধ্বে আছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও কমেছে। চিলমারীতে বিপদসীমার ১৪ সে.মি. ওপর রয়েছে। যমুনা নদে ৬টি স্টেশনের সবকটিতে পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। ৫ স্থানে বিপদসীমার ২ থেকে ৩৭ সে.মি. ওপরে এবং আরিচায় ২২ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পানি হ্রাস পেয়ে টাঙ্গাইলের এলাসিনে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. ওপরে, আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়িতে ২২ সে.মিতে স্থিতিশীল এবং সিংরায় গুর নদীর পানি কিছুটা বেড়ে ৯ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে বিপদসীমার নিচে।
গঙ্গায় পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে পদ্মার ভাটিতে গোয়ালন্দে বিপদসীমার ৮ সে.মি. ঊর্ধ্বে স্থিতিশীল রয়েছে। আপার মেঘনা অববাহিকায় সুরমা নদীর পানি গতকাল আরও হ্রাস পেয়ে দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ এবং ৩১ সে.মি. ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা স্থিতিশীল ও ফের কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ থেকে ৪৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিতাস নদীর পানি বি.বাড়ীয়ায় হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সে.মি. ওপর রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।