পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাত্রী ভেবে ডিএমপির এক এসআইকে মাইক্রোবাসে তুলে মালামাল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এ সময় ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, রড, লাঠি ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম এসব তথ্য জানান।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। চারজনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ওই সূত্র দাবী করেন।
যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আরো বলেন, গত ১৭ জুলাই এসআই কে এম নুর ই আলম ছুটিতে নেত্রকোনায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে এলজি মডেলের এলইডি টেলিভিশন, একটি সিম্ফোনি এলসিক্স মডেলের মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল ছিল। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে একটি মাইক্রোবাস এসে মহাখালী আমতলীতে তার সামনে দাঁঁড়ায়। তিনশ টাকায় নেত্রকোনা যাবে বলে উভয়ের মধ্যে ঠিক হয়। নুর ই আলম গাড়িতে উঠে বসতেই দুই দিক থেকে আরও দুজন উঠে তার হাত, পা ও চোখ বেধেঁ ফেলে। চলন্ত গাড়িতে তার মানিব্যাগ থেকে এটিএম কার্ড বের করে নেন এবং একটি বুথে ঢুকে কার্ড ঢুকিয়ে দেখে সেখানে টাকা নেই। এরপর তাকে গাড়িতে প্রচন্ড মারধর করে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। এক পর্যায়ে হাত পা বাধা অবস্থায় মালামাল কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। পরে নুর ই আলম অভিযোগ দিলে গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিমের একটি টিম গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-বজলু আলমগীর, মাসুম বিল্লাহ, মুক্তার হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, রাজধানীতে প্রাইভেটকারে ভাড়ায় যাত্রী বহনের নামে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয়। আগে থেকে যাত্রীবেশে কয়েকজন ছিনতাইকারী বসে থাকে। কিছু না বুঝে প্রাইভেটকারে ওঠামাত্র অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে মারধরের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। রাজধানীর খিলক্ষেত, মহাখালী, হাতিরঝিল এলাকায় এ চক্রের সদস্যরা সক্রিয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধু ছিনতাই নয়, গত এক মাসে অর্ধশতাধিক ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত এক মাসেই ডিএমপির বিভিন্ন থানায় দুই শতাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই রাতে খিলগাঁওয়ের সিগমা হাসপাতাল রোড এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা করছিল শরীফ, রকি, রাশেদ, রিমন ও রিয়াদ নামে ৫ডাকাত। খবর পেয়েই হাতেনাতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি ও তিনটি ছুরিসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডিএমপির একজন কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা এলার্মিং হিসেবে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ সক্রিয় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপর ডিবি পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।