পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি গ্রীষ্মে স্পেনের করডোবা প্রদেশের মনতরো শহরে তাপমাত্রা উঠেছে ৪৭.৩ ডিগ্রি। যা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দেশটিতে গত এক সপ্তাহে প্রচন্ড তাপদাহে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। স্পেনের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া সংস্থা দেশটির এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছড়ানোর রেকর্ড করে।
অসহনীয় তাপমাত্রায় শারীরিক অসুস্থতায় সম্প্রতি দেশটির লা রিয়োখাতে ৮৬ বছরের একজন বৃদ্ধ, করডোবাতে ১৭ বছরের এক যুবক, ভাইয়াদলিদে ৯৩ বছরের বৃদ্ধ, লগরোনিও তে ৯০ বছরের নারী এবং খামারে গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সেভিইয়াতে ৬৬ বছরের মধ্যবয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জাভিয়ের মার্টিন ভিড জানান, এর আগে ১৯৯৪ সালের ৪ জুলাই দেশটির মুরসিয়া শহরে সর্বোচ্চ ৪৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল। এবারের জুলাই মাসে তাপমাত্রা সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে স্পেনের জনজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের শিকার হয়ে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাবের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে অবস্থিত এ আইবেরিয়া উপদ্বীপ রাষ্ট্র স্পেনে মূলত জুলাই ও আগস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। মে মাস থেকে এ অঞ্চলে গরম পড়া শুরু করলেও এবার জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও গরম আসেনি। এ সময় ফ্যানের পরিবর্তে রাতে ঘুমাতে গিয়ে পাতলা কাপড়ের কম্বল ব্যবহার করেছে মানুষজন। পরে জুলাই মাসে হঠাৎ করেই এ মাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় গরমকে সহ্য করে নিচ্ছেন অধিবাসীরা। এ বছরের তীব্র গরমের প্রভাব স্পেনের করডোবা, সেভিইয়া, গ্রানাদা, তলেদো, মুরসিয়াতে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর রাজধানী মাদ্রিদে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল শহর বার্সেলোনাসহ কাতালোনিয়া অঙ্গরাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছড়িয়ে যাবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহওয়া অধিদফতর।
এ প্রচন্ড গরমের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটন শিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। সামারে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায় জড়িত বাংলাদেশিরা ত‚লনামূলকভাবে কম বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। পর্যটক কম আসায় একই সময়ে আগের বছরের তুলনায় কম ব্যবসা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। সূত্র : ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।