পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহাব্য়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছন, দেশে সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না। গত ১০ বছরে গুম, খুন, হত্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এখন প্রকাশ্য দিবালোকে গলা কেটে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আদালতের মধ্যে পর্যন্ত মানুষ খুন হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মানুষ মরছে। সব মিলিয়ে দেশ একটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। গতকাল তোপখানা রোডে পার্টির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় বেশ কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভার প্রস্তাবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের নেতৃবৃন্দ। প্রস্তাবে বলা হয়, ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়ে যে দেশের মানুষের মান সম্মান এবং সম্মানিত জীবন কিনতে চেয়েছিল, সেই দেশে জীবন এখন কচুপাতার পানির মতো হয়ে গেছে। এমনিতেই গত ১০ বছরে গুম, খুন, হত্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এখন প্রকাশ্য দিবালোকে গলা কেটে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আদালতের মধ্যে পর্যন্ত মানুষ খুন হচ্ছে। নুসরাতকে ধর্ষণ চেষ্টায় নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মেরে এবং পরে ঘটেছে রিফাত হত্যাকান্ড। ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ড এখন একটা মহামারী রূপ নিয়েছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিলের সাথে নতুন করে আবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু। মানুষ মারা যাচ্ছে এডিস মশার কামড়ে। সরকার মশা মারার ওষুধ কিনতে দুর্নীতি করছে, আর বলছে ডেঙ্গুর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেছে। সব মিলিয়ে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। শেয়ারবাজার থেকে এর মধ্যে ২৭ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তার মধ্যে খাদ্যে ভেজাল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মানুষকে বলতে শোনা যাচ্ছে, কী খেয়ে বাঁচব? কোনো খাদ্যদ্রব্যই তো বিষমুক্ত নয়। মনে হয় পুরো দেশের মধ্যেই বিষবাষ্প ছড়িয়েছে। এবং এই বিষ নিয়ন্ত্রণ করার কোনো চেষ্টা নেই।
সবচাইতে ভয়াবহ ব্যাপার যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ভয়াবহ অধঃপতন। স্বাধীনতার পর যেরকম গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা শুরু হয়েছিল ঠিক তারই আরেকটি রূপ আমরা এখন দেখছি। বিশেষ করে রাজধানীর বাড্ডায় তসলিমা বেগমের মৃত্যু সারাদেশের বিবেককে নাড়িয়েছে। আর সৃষ্টি করেছে অসংখ্য প্রশ্ন। এ কি কেবলই গুজব? গুজবের ফসল? নাকি এর পেছনে অদৃশ্য কোনো শক্তি কাজ করে? এসব প্রশ্ন আজ সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সভায় প্রশ্ন করা হয় কোন দিকে যাচ্ছি আমরা? বাংলাদেশ কি একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে? এটি তো এখনই একটি মৃত্যু উপত্যকা। একটা দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন যখন সরাসরি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে রাতের অন্ধকারে অপারেশন চালায় তখন সেই দেশে কোনো নৈতিকতার বালাই থাকার কথা নয়। আমরা কি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাইনি?
নাগরিক ঐক্যের এই সভায় এসবের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।