পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলিসহ তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- খান মো. ফয়সাল (৩৮), মো. জিয়াউল আবেদীন ওরফে জুয়েল (৪৫) ও মো. জাহেদ আল আবেদীন ওরফে রুবেল (৪০)। তাদের কাছ থেকে একটি একে ২২ রাইফেল, চারটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার ও বিভিন্ন অস্ত্রের ৪৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতাররা পেশায় তারা ভাড়াটে খুনি। তারা দেশ কিংবা বিদেশ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে হত্যা করে থাকে। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মো. মাহবুব আলম এসব কথা বলেন।
ডিবির (পূর্ব) খিলগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান জানান, খিলগাঁও এলাকার ২৬৯/এ/ক সিপাহিবাগের ‘ফাইভ স্টার নিবাস’ নামের বাসার সামনে থেকে প্রথমে খান মোহাম্মদ ফয়সালকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ফাইভ স্টার নিবাসে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালানোর সময় ওই ভবনের আটতলার বাঁ পাশের ফ্ল্যাট থেকে জুয়েল ও রুবেলকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ ফ্ল্যাটে আরো অস্ত্র মজুত আছে। তখন তল্লাশি করে বিদেশি রিভলবার, রাইফেলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালানোর সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার দুই আসামি জুয়েল ও রুবেল সম্পর্কে ভাই। তাদের আরেক ভাই লিয়ন সাত বছর আগে ক্রসফায়ারে মারা গেছে। জুয়েল ও রুবেলের বিরুদ্ধে তিন থেকে চারটি মামলা রয়েছে।
চক্রটির প্রধান ললাট নামের আরেক সন্ত্রাসী। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে এক গডফাদার। তারা মূলত চুক্তিতে হত্যা করে থাকেন। এ ধরনের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কাছে একে ২২ রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকা বিস্ময়কর ব্যাপার বলে মনে করছেন ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলছে উল্লেখ করে শাহিদুর রহমান জানান, বড় ধরনের সংঘাতের জন্য এ বাসায় গ্রেফতার তিন সন্ত্রাসীসহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছিল।
গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মাহবুব আলম বলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার একটি বাড়িতে একদল অপরাধী গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায় গোয়েন্দারা। এ সময় ওই বাড়ি থেকে অপরাধী চক্রের তিনজনকে আটক করতে পারলেও বাকি সাতজন পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলো- এসএম উমর ফারুক ললাট (৩২), আনিস (৪৫), মিঠু (৩৫), মামুন (৩৫), মঈন (২৮), তারিফ (৩৫) ও অনিক (৩২)। তিনি বলেন, চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ সংঘটনের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়া চাঁদাবাজি ও ছিনতাই চক্র নিয়ন্ত্রণ করতো তারা। তবে টাকার বিনিময়ে হত্যাই তাদের প্রধান কাজ। গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র ডাকাতি, প্রভাব বিস্তার ও কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রীক মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করে থাকে। এ চক্রের সঙ্গেও গ্রেফতারদের যোগসাজশ রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।