ভরা বর্ষার শ্রাবণ মাস প্রায় মধ্যভাগে। তবু নেই মুষলধারায় বর্ষণ। বৃষ্টিপাতে অসঙ্গতি বা তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ (রোববার) চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের মাত্রা থাকতে পারে কম। আর ঢাকা, রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা থেকে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ক্রমেই হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ফেনীতে ৬১ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২১, চট্টগ্রামে ১৬, রাজশাহীতে ২৫, বরিশালে ১৯, সিলেটে ১০, ময়মনসিংহে ১৭ মি.মি.সহ দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়া সতর্কতায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এরজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপক‚লের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।