পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আতঙ্ক বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার নতুন করে আরও ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর জিইসি মোড়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ৫ জন, ও আর নিজাম রোডের রয়েল হাসপাতাল ও কাতালগঞ্জের পার্কভিউ হাসপাতালে একজন করে রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন ও বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৮ জনের তথ্য জানা গেছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। গেল বছর চট্টগ্রামে ১৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এবার আক্রান্তদের বেশিরভাগ ঢাকায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এ সময়ে ঢাকায় না যাওয়ারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ফৌজদারহাট সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতালে ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
চমেক হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি হবেন তাদেরও আলাদা একটি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। যাতে করে এই রোগ ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। মশক নিধনে এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ছিটানো হচ্ছে।
পাশাপাশি সিভিল সার্জন কার্যালয় ডেঙ্গু মোকাবেলায় ১৫টি উপজেলা তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম করেছে। নগরীর ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।