পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানববন্ধনেও মায়ের কাছে যেতে বেকুল হয়ে উঠে চার বছরের শিশু তুবা। এ সময় শিশুটি মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে এবং মাকে খুঁজে বেড়ায়। রেনুর হত্যাকারীদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ রায়পুর উপজেলাবাসী। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন রেনুর দুই সন্তান মাহীর ও তুবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তুবার কান্না দেখে উপস্থিত সকলের মন বেদনায় ভরে উঠে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটনাকারী রিয়া বেগম ওরয়ে ময়না (২৭) ও প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার হৃদয় ও রিয়াকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালত তার ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন
রেনুর হত্যাকারীদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ রায়পুর উপজেলাবাসী। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন রেনুর দুই সন্তান মাহীর ও তুবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। রেনুর চার বছরের মেয়ে তুবা মানববন্ধনেও মা’কে খুঁজে বেড়ায়। এখনো মা ফিরবে সেই আশা তার। তবে কয়েকদিনেও মা ফিরে না আসায় থামছে না তুবার কান্না।
তুবাকে সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত রেনুর বোন নাজমা ও রেনুর ছেলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মাহির। মায়ের নির্মম মৃত্যুতে যেন বাকশক্তি হারিয়ে গেছে মাহিরের।
মানববন্ধনে রেনুর বোন নাজমা বলেন, তুবাকে শান্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সে বার বার মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য বায়না ধরছে। মা না আসলে খাবে না বলেও কান্নাকাটি করছে। মা ছাড়া সে ঘুমাতেও চায় না। পরিবারের সবাই মিলেও তাকে শান্ত রাখতে পারছি না বলে মন্তব্য করেন নাজমা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, আর কোনো শিশু যেন আর এভাবে মাতৃহারা না হয়। রেনু হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার পাশাপাশি রাষ্ট্রকে তার সন্তানদের দায়িত্ব নেয়ার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। গুজবের কারণে আর যেন এধরণের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ আশা বিবেকবান নাগরিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।